বাংলাদেশে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শুক্রবার ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডেল মমতা লিখেছেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশে যাঁরা কার্যভার গ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইল। আশা করি, তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘বাংলাদেশের উন্নতি, শান্তি, প্রগতি ও সর্বস্তরের মানুষের আরও ভালো হোক- এ কামনা করি। ওখানকার ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক, মহিলা থেকে শুরু করে।’ মমতা আশা করেন, ‘খুব শিগগিরই সংকট কেটে যাবে, শান্তি ফিরে আসবে। শান্তি ফিরে আসুক তোমার-আমার এ ভালোবাসার ভুবনে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকব।’
বাংলাদেশে নতুন সরকারের সাফল্য কামনা করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার। তিনি জানান, ‘১৯৭২ সালে শিকাগোয় আমরা একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের জন্য খানিকটা কাজ করেছিলাম। যতটা তাঁকে চিনি বা জানি, তিনি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার লোক, ভদ্র এবং সজ্জন। এখন এ রকম একজন ব্যক্তি রাজনৈতিক দলগুলোকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন বা বা দলগুলো তাঁকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করবে-এ সবকিছুর ওপর নির্ভর করছে তাঁর সাফল্য।’
পবিত্র সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, তাই আমি প্রত্যাশা রাখব যে সব বাধা উত্তীর্ণ করে সে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।’ শেখ হাসিনা বিদায় নেওয়ার পর বাংলাদেশের গণভবন, ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে পবিত্র সরকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে যেমন তাঁর কাজকে নষ্ট করা যাবে না, তেমন রবীন্দ্রনাথকে ভেঙেও তাঁকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার যে প্রচেষ্টা-সেগুলো এক ধরনের হাস্যকর ও ছেলেমানুষি কাজ।’