অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনায় ছয় দিন পর গতকাল সকাল থেকেই সড়কে ফিরেছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। প্রতিটি সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশ ফেরায় আনন্দিত সাধারণ মানুষও। অনেকেই পুলিশ সদস্যদের কাছে গিয়ে কুশলবিনিময় করে স্বাগত জানিয়েছেন। সবার প্রত্যাশা, ট্রাফিক পুলিশ আগের চেয়ে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে বেশির ভাগ থানা ও পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর করা হয়। দুর্বৃত্তদের হামলায় অনেক সদস্য হতাহত হওয়ার পর কর্মবিরতির ডাক দেন পুলিশ সদস্যরা। এতে করে থানার মতো অচল হয়ে পড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে টানা ছয় দিন সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষার্থীরা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহনকে লেন ব্যবস্থা মেনে চলাচলে বাধ্য করায় প্রশংসায় ভাসেন তারা। কিন্তু ক্রান্তিলগ্ন পেরিয়ে সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তেই বোঝা যায় ট্রাফিক পুলিশ কতটা অপরিহার্য। এরই মধ্যে থানার কার্যক্রম শুরু হলেও নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সড়কে নামতে রাজি হচ্ছিলেন না ট্রাফিকের সদস্যরা। গতকাল রাজধানীর মহাখালী, মগবাজার, এফডিসি মোড়, কাকরাইল, বনানী, গুলশান, মালিবাগ, ফার্মগেট ও গুলিস্তান ঘুরে ট্রাফিক পুলিশকে আগের মতোই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। গুলশান-১ নম্বরে দেখা যায়, ছাত্রদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সহযোগিতা করছেন এক দল শিক্ষার্থী। রাস্তায় নামার পর ট্রাফিকের সদস্যদের আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান ছাত্র-জনতা। পুলিশ সদস্যরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্ভয়ে যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলেন, আপনারা জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে অনেক কষ্ট করেছেন। এবার আমরাও জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য এসেছি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এ এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, দায়িত্বে ফিরে আসায় মানুষ আমাদের স্বাগত জানিয়েছে। আমাদের মানুষ সহযোগিতা করছে। মানুষ বলছে, ট্রাফিক পুলিশ ছাড়া ঢাকা শহর অচল। মানুষ বলছে, যা হওয়ার হয়েছে, এখন সব কিছু সুন্দর করে চলুক। এদিকে এতদিন ধরে ট্রাফিক পুলিশবিহীন রাস্তায় শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করে আসা শিক্ষার্থীরাও বলছেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাফিক পুলিশ অপরিহার্য। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ছাড়া রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ জানিয়েছে, গতকাল ভোর সাড়ে ৬টা থেকে দুপুর আড়াইটা এবং দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ১১টা এই দুই শিফটে কাজ শুরু করেছেন ট্রাফিক সদস্যরা। রবিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। বৈঠকে পুলিশের ১১ দফা দাবির কয়েকটি দ্রুতই পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে অন্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে দীর্ঘ মেয়াদে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে পুলিশের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো যাবে না। আর পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।
সারা দেশে থানার পর সড়কেও ফিরল পুলিশ : জেলা ও মহানগরের থানাগুলোর পর এবার সড়কেও ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা। গতকাল সকাল থেকে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় ফিরতে শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনী কাজে যোগ দেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেক স্থানে পুলিশকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন রাজনীতিবিদ ও শিক্ষার্থীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। এসব স্থানে তাদের সঙ্গে একজন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিও রয়েছেন। গতকাল সকাল থেকে পোশাক গায়ে নগরের জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, ওয়াসা এবং লালখানবাজার এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। প্রয়োজনে তারা নিউমার্কেট এলাকায়ও কাজ করবেন বলে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
আগ্রাবাদ এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. নোমান ও মো. সবুর বলেন, শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহ ধরে ভালোভাবেই ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলেছেন। তাদের নিয়ে গর্ববোধ করছি।
রাজশাহী : রাজশাহী জেলা ও মহানগরের থানাগুলোর পর এবার সড়কেও ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা। রবিবার সকাল থেকে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় ফিরতে শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। গতকাল নগরীর কয়েকটি পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
রংপুর : রংপুরে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ তাদের কাজ শুরু করেছে। সকাল থেকে নগরীর মেডিকেল মোড়, কাচারীবাজার, পায়রাচত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, শাপলাচত্বর, মডার্ন মোড়সহ নগরীর ৬টি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সদর উপজেলার পাগলাপীর, তারাগঞ্জ উপজেলার চৌপথি, মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী ও কাউনিয়া উপজেলার বাজার এলাকায় তারা দায়িত্ব পালন করেন।
সিলেট : প্রায় ছয় দিন পর সিলেটের সড়কে ফিরেছে ট্রাফিক পুলিশ। গতকাল সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশরা দায়িত্বে ফেরায় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেছেন সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, নাইওরপুল ও সোবহানীঘাট পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন। বৃষ্টির মধ্যে তারা সড়কে দাঁড়িয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছেন।
বরিশাল : কাজে ফিরেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশ সদস্যরা। তাদের সহায়তায় মাঠে রয়েছে সেনা ও শিক্ষার্থী-জনতা। দায়িত্বে ফিরে পুলিশ সদস্যরাও খুশি। জনগণের পাশে থেকে সেবা দিতে চায় পুলিশ সদস্যরা। বরিশালের পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের চার থানা ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরেছেন। সকাল ৯টার দিকে ইউনিফর্ম পরিধান করে পুলিশ সদস্যরা থানায় আসেন। পরে থানা কম্পাউন্ডে হাজিরা দিয়ে কাজে যোগ দেন।
বগুড়া : ট্রাফিক পুলিশ কাজে যোগ দেওয়ায় যানজট কমছে বগুড়ায়। রবিবার বিকালে থেকে সীমিত পরিসরে সড়কে যানজট নিরসনে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ। গতকাল সকাল থেকে পুরোদমে শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও যানজট নিরসনে কাজ করছেন। ফলে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।
যশোর : প্রায় এক সপ্তাহ পর যশোরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ। গতকাল সকাল থেকেই শহরে আগের মতোই তারা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। তবে তাদের সঙ্গে স্কাউটস ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরাও কাজ করে যাচ্ছেন।
ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যশোর শহরসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ৮৬ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
গাইবান্ধা : সপ্তাহখানেক পর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে গাইবান্ধার বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরাও।
ফেনী : শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে অবস্থিত ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করতে জড়ো হয়। ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে আনুমানিক ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্য পুনরায় কাজে যোগ দেন। এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এ কে এম শামসুদ্দিন, স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন, শহর জামায়াতের আমির মো. ইলিয়াস, জেলা ছাত্রদল সভাপতি এম সালাহউদ্দিন মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ : জেলা শহরের পায়রা চত্বর, পোস্ট অফিস মোড়, আরাপপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ শুরু করেন। এতে স্বস্তি নেমেছে জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে। ট্রাফিফ বিভাগ জানায়, জেলার ৬ উপজেলার ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা কাজ শুরু করেছেন। এতে তাদের সহযোগিতা করছেন শিক্ষার্থীসহ রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা।
মেহেরপুর : শহরের হোটেল বাজার মোড়ে পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হকের নেতৃত্বে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামে পুলিশ সদস্যরা। এর পরপরই পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ ভ্যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে মেহেরপুর শহর প্রদক্ষিণ করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর থানাসহ মেহেরপুরের মুজিবনগর ও গাংনী থানাতেও কাজে যোগ দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া মডেল থানা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সদর পুলিশ ফাঁড়িতে অস্থায়ী ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন পুলিশিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা পুলিশকে ফুল ও কোরআন শরিফ উপহার দেন। একই সঙ্গে কুষ্টিয়ার বাকি ৬টি থানাতেও পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও শহরে ট্রাফিক সিগন্যালসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দায়িত্ব পালন শুরু করেছে পুলিশ। সকাল থেকেই থানাগুলোতে বিভিন্ন অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। সড়কে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীদেরকেও যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।
রাঙামাটি : বনরূপা পুলিশ বক্সে রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদের নেতৃত্বে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামে পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া জেলার ১২টি থানায় একযোগে কাজে যোগ দেন পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন পর পুলিশ ফাঁড়িতে ফিরে আসে কর্মব্যস্ততা। সচল হয় থানার কার্যক্রম।
ভোলা : নিজ নিজ ডিউটিতে ফিরেছেন ভোলা জেলা পুলিশের সদস্যরা। পুলিশ বাহিনী কাজে যোগ দেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন উদ্যমে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তাদের পাশাপাশি ছাত্রদেরও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা যায়।
এদিকে ভোলা সদর মডেল থানায় পুলিশি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পুলিশি সেবা নিতে সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জেলার ৯ থানায় যোগ দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযোগ নথিভুক্ত ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন। সদর থানা একেবারে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও অন্যান্যগুলোর তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ময়মনসিংহ : সড়কে ট্রাফিক, কোর্টে ও থানায় পুলিশের সরব উপস্থিতি এবং কার্যক্রম দেখা যায়। পুলিশ কাজে যোগ দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। স্বাভাবিক হচ্ছে ব্যবসাবাণিজ্য। ট্রাফিকের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও সড়কের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন।
নীলফামারী : কাজে ফেরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে জেলা বিএনপি। গতকাল দুপুরে জেলা শহরের পৌর বাজার দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে পুলিশ সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম।
পিরোজপুর : পিরোজপুর জেলার সাতটি থানা, তিনটি তদন্ত কেন্দ্র ও একটি পুলিশ ফাঁড়িতে পুরোপুরি কার্যক্রম চালু হয়েছে। শহরের সিও অফিস মোড়ে ট্রাফিক বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে এবং পাশাপাশি সাতটি থানা তিনটি তদন্ত কেন্দ্র একটি পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইনস এসব কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা পুলিশ বলে জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজবাড়ী থানা পুলিশ সদস্যরা মোটরসাইকেল এবং নিজস্ব গাড়িতে থানা থেকে বের হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি রয়েছে। পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়াতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বাগেরহাট : বিভিন্ন সেবা প্রত্যাশীরা থানায় এলে তাদের সেবা দিচ্ছে পুলিশ। বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশও টহল দেওয়া শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এই টহল সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরীর আটটি থানায় জনগণকে সেবা দিতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় সব পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেওয়ায় পুলিশের মনোবল ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
নোয়াখালী : সেনাবাহিনীর সহায়তায় নোয়াখালী সদরের সুধারাম মডেল থানাসহ আট থানায় আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এখনো পুরোপুরিভাবে স্বাভাবিক হয়নি। একই সঙ্গে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক পুলিশ কাজ শুরু করেছে।