ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, অপ্রতিরোধ্য তারুণ্যকে উপেক্ষা বা নিপীড়নের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। তরুণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নজিরবিহীন প্রাণহানি ও ত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সাক্ষী হয়েছি আমরা। তিনি তারুণ্যের নেতৃত্বে রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল সংস্কারের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণের আহ্বান জানান। গতকাল আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাসহ একটি সুশাসিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের চাহিদা চিরজাগ্রত রাখতে তারুণ্যই নেতৃত্ব দেবে। সেই পথ পরিক্রমায় অন্তর্বর্তী সরকারকে এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের উপযুক্ত রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় রাজনৈতিক বন্দোবস্ত অর্জনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তারুণ্যের শক্তিকে দমন নয় বরং তাদের তথ্য জনগণের ন্যায্য মানবাধিকার নিশ্চিতের উপযোগী রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যে নতুন দিনের শুভসূচনা হয়েছে এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার আলোকে রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে এদেশের সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চয়তাসহ একটি বৈষম্যমুক্ত, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক সুশাসিত স্বদেশ বিনির্মাণে তরুণরাই আমাদের পথ দেখাবে।
সম্ভাবনাময় যুব জনগোষ্ঠীকে জাতীয় অর্জনের মূল চালিকাশক্তি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৪ উপলক্ষে টিআইবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তরুণ প্রজন্মের অংশীজনরা বেশ কিছু সুপারিশ করে। এর মধ্যে আছে দলীয়করণ বন্ধ করে পুরো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে ঢেলে সাজানো। তথ্য, বাক ও মত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার ফ্যাস্টিট পদ্ধতি বন্ধ করার কার্যকর কৌশল নির্ধারণ করা। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ আইনের শাসনের সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠান তথা সার্বিক রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাতে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা।