সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গতকাল আরও দুটি মামলা হয়েছে। একটি খুনের, অপরটি গুমের। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে মিরপুরে গুলিতে কলেজছাত্র নিহতের ঘটনায় গতকাল কাফরুল থানায় শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়। একই দিন এক আইনজীবীকে গুমের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হলো। প্রথম মামলাটি হয় গত মঙ্গলবার। নিউমার্কেট থানায় করা খুনের প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে পুলিশ গতকাল ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের নিহত শিক্ষার্থী ফয়জুল ইসলাম রাজনের ভাই মো. রাজীব ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আহমেদ হুমায়ুন কবির মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কাফরুল থানাকে নির্দেশ দেন। এ হত্যা মামলায় এক নম্বর আসামি হিসেবে রয়েছে শেখ হাসিনার নাম। আরও যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- হাসিনা সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, কামাল আহম্মেদ মজুমদার, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, স্থানীয় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ নেতা সালামত উল্লাহ সাগর ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সদস্য দীপংকর বাছার দীপ্ত। এ ছাড়াও এই মামলায় আওয়ামী লীগের আরও ৫০০ থেকে ৬০০ নেতা-কর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী রাজন হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজন ঢাকার কাফরুল থানার ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। গত ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করলে আমার ভাই ফয়জুল ইসলাম রাজন আন্দোলনে একমত পোষণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে শরিক হন। ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এক নম্বর আসামি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ গত ১৪ জুলাই গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে অভিহিত করেন। আসামি শেখ হাসিনার এহেন ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য দেশের সব গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়। আসামি শেখ হাসিনার এই উসকানিমূলক এবং অপমানজনক বক্তব্যের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করেন।
এই পরিস্থিতিতে মামলার দুই নম্বর আসামি ওবায়দুল কাদের গত ১৫ জুলাই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘আন্দোলনকারীদের মোকাবিলা করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ মর্মে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে ছাত্রলীগ নামীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গণহত্যার নির্দেশ প্রদান করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ‘আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, শেখ ফজলে শামস পরশ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খসরু চৌধুরীদের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আন্দোলনকারীদের নিষ্ঠুরভাবে দমনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন।
আসামিদের অবৈধ ও বেআইনি দিকনির্দেশনা পালনের জন্য নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর জন্য নিজ নিজ বাহিনীর সদস্যদের ওপর নির্দেশনা প্রদান করেন আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন তথা র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ এবং ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান। এদিন ফয়জুল ইসলাম রাজন ছাড়াও আরও অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত এবং নিহত হন।
এদিকে সকালে শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে উত্তরা-পশ্চিম থানাকে মামলাটি এজহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। এ ছাড়া র্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এ মামলাটির অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগত কাজে বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রিংকুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডে স্মাইল গ্যালারির সামনে যান আইনজীবী সোহেল রানা। এ সময় হাতে স্মার্ট ডিভাইস বহনকারী একজন ব্যক্তি তাকে সালাম দিয়ে বলেন, ‘আপনি কি অ্যাডভোকেট মো. সোহেল রানা’? তিনি হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলে একটি ছাই রঙের হাইয়েস গাড়ি তার সামনে এসে দাঁড়ায় এবং জরুরি কথা আছে বলেই তাকে গাড়িতে তুলে নেয়।
এরপর সোহেল রানা এবং তার বন্ধুকে গাড়িতে তোলার সঙ্গে সঙ্গে ওই বন্দুকধারী ব্যক্তিরা দুজনের চোখ শক্ত করে বেঁধে পিছমোরা করে হাতে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়। সোহেল রানার সঙ্গে থাকা মোবাইলসহ সিম ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয় এবং তার কোমরের বেল্ট এবং প্যান্ট খুলে ফেলে। তারা সোহেল রানার পুরুষাঙ্গে ক্লিপ জাতীয় কিছু লাগিয়ে কারেন্টের শক দিতে থাকে। তার আর্তচিৎকার যেন বাইরে থেকে শোনা না যায় সেজন্য গাড়িতে উচ্চ ভলিয়মে ডিজে টাইপের গান চালিয়ে রাখে। মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, সোহেলকে একজন প্রশ্ন করে ‘বড় নেতা হয়ে গেছিস’ ‘রাজনীতি করি কেন?’ এবং উত্তরে সোহেল যাই বলে না কেন, প্রত্যেকবারই কারেন্টের শক দিতে থাকে। একপর্যায়ে কোনো এক অজ্ঞাত স্থানে গাড়ির গতি কিছুটা কমিয়ে সোহেলের বন্ধুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পেছনে তাকালে বন্ধুকে গুলি করে মেরে ফেলবে বলে জানায়। ঘণ্টাখানেক গাড়িতে নির্যাতন চালানো অবস্থায় সোহেল বুঝতে পারেন হাইয়েস গাড়িটি বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির পর কোনো একটা বিল্ডিংয়ের আন্ডারগ্রাউন্ডে প্রবেশ করেছে এবং তার চোখ বাঁধা অবস্থায়ই গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হয়। এরপর সোহেলকে নানা কায়দায় নির্যাতন করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকার বিনা বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এবং বাদী নিজেই ওই নিপীড়নের শিকার। ওই বিষয়ে সরকারপ্রধানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা থাকায় বিগত সরকারের আমলে মামলা দায়েরে বাদীর প্রাণনাশের হুমকি থাকায় মামলা করতে পারেন নাই। বিধায় এই মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হলো। গত ১২ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত অফিসার-ইনচার্জ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন।
সালমান ও আনিসুল হক ১০ দিনের রিমান্ডে : এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল আসামিদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদের আদালতে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ১০ দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। রিমান্ড শুনানির সময় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। কিছু আইনজীবী শুনানি করতে এলেও পরে তারা জনগণ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের দেখে ভয়ে পালিয়ে যান বলে জানা যায়।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতে প্রবেশ করানো হয়। আদালতে আনার সময় উত্তেজিত জনতা ও আইনজীবীরা আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। তারা আসামিদের ফাঁসির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন এবং আসামিদের গাড়ি লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন। আদালতে আনা-নেওয়ার সময়ও আসামিদের লক্ষ্য করে ব্যাপকহারে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করতে দেখা যায় উত্তেজিত জনগণকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা, বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর আগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ দুই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা দিয়ে নৌপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান ডিবি হেফাজতে ছিলেন। এরপর গতকাল সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ১৬ জুলাই আন্দোলন চলাকালে শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) এ মামলাটি করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামাদের।
সাবেক আইজিপিসহ ১৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিএনপির দুই মামলা : ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় এবং দুই বছর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের নামে লুটপাট ও ডাকাতির অভিযোগে পল্টন থানায় দুটি মামলা করেছে বিএনপি। মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদসহ ১৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে পল্টন থানায় বিএনপির মামলার তথ্য ও সংরক্ষণবিষয়ক কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন খান এ দুটি মামলা করেন। পরে সালাহ উদ্দীন খান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পুলিশ অফিসাররা অনেক মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, হয়রানি করেছেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের গুম করা হয়েছে। ২০২২ সালের একটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি। হারুন অর রশিদ, মেহেদি হাসান, বিপ্লব কুমার ওই দিন আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে অফিসের সব মালামাল নিয়ে যায়। প্রায় ৪৭ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করেছে। আর ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল নষ্ট করেছে। সেই সংক্রান্ত একটা মামলার অভিযোগ আমরা এখানে জমা দিয়েছি।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়টা ১৬ জুলাই। সেদিন ডিবির হারুন অর রশিদ, ডিএমপির মেহেদি হাসান, বিপ্লব কুমার অস্ত্র তৈরি করার হাতিয়ারসহ বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে আমাদের কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কক্ষে রাখে, তৃতীয় তলায় অবৈধ বোমা রাখে। একটা নাটক সাজিয়ে তারা বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এই যে তারা (পুলিশ কর্মকর্তারা) অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোম রাখল। কার্যালয়ের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভয়ভীতি দেখাল তার একটি অভিযোগ নিয়ে আমরা এসেছি। আমরা ডিউটি অফিসার এসআই মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেন্টু মিয়া অভিযোগগুলো গ্রহণ করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল আলম, হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম) আসাদুজ্জামান, যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) খন্দকার নুরন্নবী, সনজিত কুমার রায়, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার, মেহেদি হাসান, উপ-কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন) তারিক বিন রশিদ, উপ-কমিশনার (মতিঝিল জোন) হায়াতুল ইসলাম খান, এডিসি (সোয়াট টিম) জাহিদুল ইসলাম, এসি (মতিঝিল জোন) গোলাম রুহানী, পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন মিয়া, এসআই (পল্টন মডেল থানা) মিজানুর রহমান।