আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। এ ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নাম পরিবর্তন এবং সারা দেশের এসপি-ওসিসহ প্রশাসনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে দেখা করে এসব দাবি জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলটির নেতারা।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গণ অধিকার পরিষদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছে সেগুলো হলো- ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সব জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ও থানায় নতুন ওসি নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে দলটি। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশের বিভাগীয় ডিআইজিসহ দলবাজ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করে দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা। চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি ও নির্বিঘ্নে-নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করাসহ দ্রুত সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রতি থানায় ১০ জন করে সেনা সদস্য নিয়োগ করা জরুরি বলে মনে করে গণ অধিকার পরিষদ। তাদের দাবি, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনসহ পুলিশের সর্বস্তরের ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত করে জনবান্ধন পুলিশি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যে কোনো অসদাচরণ, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে এক মাসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবি জানানো হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়াসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। তারা হলেন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, আবদুজ জাহের, জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।