২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে গণহত্যা ও পুরান ঢাকায় দুই শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। আদালত হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার মামলাটি ঢাকার মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে পুরান ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থী নিহতে হওয়া মামলাটি সূত্রাপুর থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে হওয়া হত্যা মামলার সংখ্যা দাঁড়াল আট-এ। একটি গুমের মামলাও হয় হাসিনার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে গতকাল রংপুরে আবু সাঈদ হত্যাসহ তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনা, কাদের, সাবেক আইজিপিসহ ৭৮ জনকে। নাটোরে শেখ হাসিনা ও সাবেক এমপি শিমুলসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। জয়পুরহাটে শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৮ জনের নামে মামলা হয়েছে।
শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের নামে হত্যা মামলা : ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী-আল ফারাবীর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মতিঝিল থানা পুলিশকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দ বিধির ১৪৭, ৩৬৫, ৩৬৬, ৩০৭, ৩২৬, ৩০২ ও ৩৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি হাসান মাহাবুব খন্দকার, র্যাবের সাবেক প্রধান এ কে এম শহিদুল হক, এনএসআইর সাবেক প্রধান জিয়াউল আহসান, মতিঝিল বিভাগের সাবেক ডিসি বিপ্লব কুমার সরদার, মতিঝিল থানার সাবেক ওসি ওমর ফারুক, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর আহমেদ, তৎকালীন মতিঝিল থানার ছাত্রলীগ সভাপতি মাহাবুবুল হক হিরন, ইমরান, আওয়ামী লীগ নেত্রী মমতাজ পারভীন, মতিঝিল থানার সাবেক ওসি ফরমান আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সালু, মতিঝিলের সাবেক ডিসি নাজমুল আলম, মেজর (অব.) ইকবাল ও আশরাফুজ্জামান।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ব্লগাররা ধর্মীয় অবমাননা ও হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি এবং বাজে লেখালেখি করার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি সরকারের কাছে দেয়। সরকার দাবি না মানায় ২০১৩ সালে ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে রাস্তায় অবস্থান নেয় হেফাজত। ওইদিন রাত ১১টা থেকে পরের দিন বেলা ১১টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে শেখ হাসিনার মদদে আসামিদের যোগসাজশে অন্য আসামিরা এজাহারে বর্ণিত পুলিশ ও সেনা সদস্যরা মিলে নিরীহ মাদরাসাছাত্র ও পথচারীদের ওপর গণহত্যা চালায়। তাদের হত্যা করে লাশগুলো সিটি করপোরেশনের গাড়িতে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলে। মামলার অভিযোগে বাদী আরও উল্লেখ করেন, এ সময় বহু মাদরাসাছাত্র হত্যাকাে র শিকার হয়েছিল। তাদের অভিভাবকরা সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা ও জিডি করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ কোনো মামলা নেয়নি।
দুই শিক্ষার্থী হত্যায় মামলা : ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুরান ঢাকায় দুই শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কবি নজরুল সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন কাউসার ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ওমর ফারুক আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় এ মামলাটি করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন নাসরিন বেগম নামে এক নারী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সূত্রাপুর থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলায় আরও যারা আসামি- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পুলিশের ক্রাইম অ্যান্ড অপস বিভাগের হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা লীগসহ দলটির অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-২৫০ জন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আন্দোলনে নামে। গত ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা আন্দোলন নিয়ে বিরূপ ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত হয়ে ওবায়দুল কাদের, তাপস, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, মহিবুল হাসান, পলক, নুরুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল মামুন শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন। ছাত্রদের দমনে এসব আসামির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে নুরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার ও হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও পিএমও হতে নিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা গত ১৫ জুলাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন, গুম, খুন করা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা সূত্রাপুর থানাধীন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিও চালানো হয়। এতে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন কাউসার ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ওমর ফারুক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
রংপুরে আবু সাঈদ হত্যাসহ তিন মামলায় আসামি শেখ হাসিনা, কাদের, সাবেক আইজিপিসহ ৭৮ জন : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইজিপি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করে কোটা আন্দোলনে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদসহ তিনটি হত্যাকাে র ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। গতকাল সকালে মেট্রোপলিটন তাজাহাট, কোতোয়ালি আমলি আদালতে এসব মামলা হয়। এতে ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হওয়ায় আবু সাঈদ আসামিদের শত্রুতে পরিণত হন। আসামিরা যোগসাজশ কওে গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে। এ মামলার আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন, এএসআই আমির আলী, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তভ রাফিউল হাসান রাসেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান ম ল, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজসহ অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। মেট্রোপলিটন আমলি আদালত তাজহাটে এ মামলা করা হয়। এদিকে গত ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস ঢাকা-এর অষ্টম পর্বের ছাত্র আবদুল্লাহ আল তাহির। তিনি রংপুর নগরীর রাজা রাম মোজন মার্কেটের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। রবিবার সকালে রংপুর কোতোয়ালি মেট্রো থানার কগনিজেন্স আদালতে তাহিরের বাবা আবদুর রহমান বাদী হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
এতে ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জন। অপরদিকে রংপুর নগরীর নিউ জুম্মপাড়ার বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় তার মা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
নাটোরে শেখ হাসিনা ও সাবেক এমপি শিমুলসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও নাটোর-২ সদর আসনের সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে নাটোরে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে নাটোর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মনু মিয়ার ছেলে মো. ফজের আলী। অন্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাটোর কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, সহসভাপতি ও নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু, নাটোর কোর্টের জিপি আবদুল মালেক শেখ, নাটোর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, জেলা যুবলীগ সভাপতি এহিয়া চৌধুরী, তার ছেলে নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর আকিব চৌধুরী, নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক এমপি শিমুলের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম সাগর ও তাদের ভাগ্নে নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর নাফিউ ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
জয়পুরহাটে শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৮ জনের নামে মামলা : কোটা আন্দোলনের কর্মসূচিতে গত ৪ আগস্ট জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষার্থী নজিবুল সরকার বিশাল নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদুসহ ১২৮ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বিকালে নিহত বিশালের বাবা মুজিদুল সরকার বাদী হয়ে সদর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি-১ আদালতে এ মামলা করেন। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতের বিচারক আতিকুর রহমান এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানাকে নির্দেশ দেন। গুলিতে নিহত নজিবুল সরকার পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের মজিদুল সরকারের ছেলে। তিনি পাঁচবিবি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।