বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য কিছু ব্যক্তি ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত করছেন। তিনি বলেন, এসব ব্যক্তি বিভিন্ন গোলযোগ সৃষ্টি করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অন্যায়ভাবে তা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অথচ আমাদের দলের কোনো নেতা-কর্মী এ ধরনের কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত নন। উপরন্তু আমরা চেষ্টা করছি, যে গোলযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলোকে বন্ধ করার জন্য। গতকাল দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্প অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন জানিয়ে মহাসচিব বলেন, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চাই। চাই একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সাম্য, মানবিক অধিকার, ন্যায়বিচারকে প্রতিষ্ঠিত করে আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। দলের এই মুখপাত্র বলেন, শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে সুসংগঠিত করবে বিএনপি। দলের নেতা-কর্মী ও দলকে আরও সুদৃঢ় করতে এরই মধ্যে বিএনপি কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন। অন্যান্য নেতা, যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বন্দি হয়েছিলেন, তাঁদের কিছু মুক্তি হয়েছেন, কিছু বাকি আছেন। সব মুক্তির জন্য আমরা ব্যবস্থা করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শপথ নিয়েছি, আজকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে- সেই বিজয়কে আমরা সুসংহত করব। মির্জা ফখরুল বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছে, এই সরকারকে দলের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক সমর্থন জানাচ্ছি।