জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আদেশ বাতিল করে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সরকার বিশ্বাস করে, দলটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয়। তাই সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর ধারা ১৮-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণাসংক্রান্ত গত ১ আগস্টের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করল।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যেই ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে দেশে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পেছনে জামায়াতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। দেশ ছেড়ে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে গঠন হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১২ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর এ বিষয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখে জামায়াত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে এমন নানামুখী আলোচনা ছিল বিভিন্ন মহলে।