তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের ফলে আমরা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। নাম না জানা অনেক ছাত্র-জনতা এ আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন।
তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গেছে। শহীদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। স্বাধীনভাবে, প্রাণ খুলে কথা বলতে পারছি। গতকাল মিরপুরের পাইকপাড়ায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ কলেজছাত্র আহনাফের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্ররা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল, তাদের আত্মত্যাগের ফলে আজ আমরা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। খুব শিগগিরই সব শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি স্মরণসভা করা হবে। সেখানে আপনাদের উপস্থিতি কামনা করছি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের এই দেশের মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে। তথ্য উপদেষ্টা আহনাফের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খোঁজখবর নেন এবং এখন থেকে যে কোনো সময়, যে কোনো প্রয়োজনে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় বাসায় আহনাফের মা, বাবা, দুই ভাই এবং খালা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ (১৭) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ এ পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
এটুআই এর অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প দ্রুত বাদ দিতে দিন : ঢাকায় আইসিটি টাওয়ারে এটুআই এর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, এটুআই-এর অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প দ্রুত বাদ দিন। এটুআই কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগগুলো দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের যুবসমাজকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ গাড়ি হিসেবে কাজ করছেন তাদের সমন্বয়ে অ্যাডভাইজরি টিম করা হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী তরুণদের কাজে লাগানো হবে। নাহিদ ইসলাম বলেন, এটুআই-এর অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে একাধিক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেই তদন্ত প্রক্রিয়া যেন নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ হয়। আলোচনাকালে তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আলোচনায় এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।