ভারতীয় ঋণের সব প্রকল্প চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, কয়েকটি প্রকল্পের কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার ভারতে চলে গেলেও দ্রুত ফিরে আসবেন এবং কাজ শুরু হবে। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ই-রিটার্ন সেবায় কল সেন্টার : অনলাইনে রিটার্ন দাখিল-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কল সেন্টার চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামীকাল থেকে ০৯৬৪৩৭১৭১৭১ নম্বরে ফোন করে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। গতকাল এনবিআর ভবনে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে অনলাইন আয়কর রিটার্ন বিষয়ক সভায় কল সেন্টার সেবা চালুর ঘোষণা দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। এ সময় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা নিজের রিটার্ন তৈরি, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল অথবা অফলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রিন্ট গ্রহণ, অনলাইন ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদি) মাধ্যমে কর পরিশোধ, রিটার্ন দাখিলের তাৎক্ষণিক প্রমাণ প্রাপ্তি, আয়কর পরিশোধ সনদ ও টিআইএন সনদ প্রাপ্তি, পূর্ববর্তী কর বছরের দাখিলকৃত ই রিটার্নের কপি ও রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ ডাউনলোডের সুবিধা পাবেন। এই সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে টিআইএন ও করদাতার নিজ নামে বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে। এনবিআর ২০২১ সালে এই সিস্টেম চালু করার পর ২০২১-২০২২ কর বছরে ৬১ হাজার ৪৯১ জন, ২০২২-২০২৩ কর বছরে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮১ জন ও ২০২৩-২০২৪ কর বছরে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন।