মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দূর করতে উৎপাদকদের সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে। উৎপাদকেরা সমবায়ের মাধ্যমে আড়তদারদের সরাসরি ডিম সরবরাহ করতে পারবে। এক্ষেত্রে উৎপাদক-আড়তদার লাভবান এবং ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম কিনতে পারবেন। গতকাল দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার মৎস্যজীবী ও প্রাণিসম্পদের প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদা আখতার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশে অত্যধিক গরম ও শীতের ফলে ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণেও অনেক খামার নষ্ট হয়ে ডিমের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে।
অনুষ্ঠানে খামারিদের মুরগির খাদ্য ও বাচ্চার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টির উল্লেখ করে উপদেষ্টা তাদের ‘চুক্তিভিত্তিক’ খামারি না হয়ে স্বাধীন খামারি হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে কিন্তু প্রকৃতরা লাভবান হচ্ছে না। ফিডের ক্ষেত্রে কয়েকটি কোম্পানির হাতে সবাইকে জিম্মি হতে দেওয়া হবে না এ জন্য সরকার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা নারী উদ্যোক্তাদের শুধু পোলট্রি নয় দেশি মুরগি পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশি মুরগি ও ডিমের উৎপাদন বাড়ালে অর্থনৈতিকভাবে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। নিজেরা গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এস এম মুশাররফ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম প্রমুখ। পাবনার বিভিন্ন উপজেলার মৎস্যজীবী ও খামারিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।