অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহালের মধ্য দিয়ে বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের একটা জায়গায় গেল। তিনি বলেন, আজকের (গতকাল) আদেশটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক। এই আদেশের ফলে বিচারবিভাগ দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এলো।
গতকাল সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের আদেশের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ফেরা প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর ঐতিহাসিক একটি দায়িত্ব অর্পিত হলো। এখন তারা যাতে তাদের এই শক্তি, মেরুদন্ড সোজা রেখে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন। যদি তারা (বিচারবিভাগ) এটাকে কাজে না লাগান তাহলে ইতিহাস তার বিচার করবে। ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক আগেই ষোড়শ সংশোধনী মামলার রিভিউ আবেদন ফাইল করা ছিল। সেখানে ৯৪টি গ্রাউন্ড ছিল। আমরা সব গ্রাউন্ডই পড়েছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এই গ্রাউন্ডগুলোর একটিও গুড গ্রাউন্ড না। আমরা আদালতকে বলেছি, ওই গ্রাউন্ডগুলো প্লেস করব না। আমরা আদালতে বলেছি, বিচারপতিদের পদত্যাগ করার বিধান নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। সেই বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেছি। তিনি বলেন, আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। আদালত মনে করেছেন, যে কোনো অস্পষ্টতা দূর করা প্রয়োজন। এ কারণে ৯৬ অনুচ্ছেদে ২ থেকে ৮ পর্যন্ত পুরোপুরি পুনর্বহাল করা হয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে কথায় কথায় তার বিরোধীদের সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাতেন। এখন তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমি আশা করি শেখ হাসিনা দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হবেন। আরেক প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিয়েও তাকে ফিরে আনা হতে পারে।