পাঁচ বছর আগে আওয়ামী লীগ নিয়ে মানহানির অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরাফাতুল রাকিব এ আদেশ দেন। তারেক রহমানের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় দীর্ঘদিন কোনো সাক্ষী আসে না। গতকাল ধার্য দিনে আসামিপক্ষ মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের মামলা থেকে খালাস দেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এদিকে ফেসবুক লাইভে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন। সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য দিনে গতকাল কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। পরে রাশেদের আইনজীবী জাহেদুর রহমান তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে মানহানিকর ও মিথ্যা বক্তব্য দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ওই বছরের ১ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। ওই দিনই রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই দফায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর পর তদন্ত শেষে রাশেদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।