বাবার প্রকৃত পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরতে ডিএনএর নমুনা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কার্যালয়ে যান তিনি। পরে ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ অ্যানালিস্টরা পরীক্ষার জন্য নমুনা হিসেবে তাঁর মুখের লালা ও রক্ত সংগ্রহ করেন বলে জানান সিআইডির ডিএনএ অ্যানালিস্ট আশ্রাফুল আলম। ওয়ান ইলেভেনের পর আত্মগোপনে চলে যান হারিছ চৌধুরী। দীর্ঘ ১৪ বছর গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ‘অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে বসবাস করতেন রাজধানীর পান্থপথে। জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান হারিছ চৌধুরী। তৎকালীন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নামেই নিজের বাবার লাশ দাফন করেন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী। মৃত্যুর ১ হাজার ১৩৮ দিন পর গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে সিআইডি, স্থানীয় সরকার সচিবের প্রতিনিধি, জেলা রেজিস্ট্রারের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে লাশ কবর থেকে তোলা হয়। সে লাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সামিরা তানজিন চৌধুরী বলেন, ‘১৫ বছর ধরে আমার বাবার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই লেখা হয়েছে। কেউ বলেছেন তিনি লন্ডনে। কেউ বলেছেন এখনো বাবা বেঁচে আছেন। কিন্তু আমরাই জানি আমাদের বাবা আর নেই। তাঁকে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করেছি এবং তিনিই হারিছ চৌধুরী। বিগত স্বৈরাচার সরকারের ভয়ে আমরা বাবাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে করোনাভাইরাসের সময় সাভারে বাবাকে কবর দেওয়া হয়। বাবার মৃত্যুসনদ চেয়ে আবেদন করা হলেও স্বৈরাচার সরকার আমাদের কথা শোনেনি। এখন প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরার সময় এসেছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই প্রকৃত সত্যটা আমরা জাতির সামনে তুলে ধরতে পারব।’ এর আগে বাবার প্রকৃত পরিচয় প্রমাণে ডিএনএ পরীক্ষা, মৃত্যুসনদ, ইন্টারপোলের রেড নোটিস থেকে নাম প্রত্যাহার, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (নম্বর ১০৭৮৭/২৪) করেন সামিরা তানজিন চৌধুরী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মাহবুবুল ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন। সে নির্দেশনা পেয়ে ৮ অক্টোবর ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের বিচার শাখা থেকে দেহাবশেষ উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনকে।
শিরোনাম
- পুলিশকে মারপিটে উসকানির অভিযোগে তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৩
- কৃষক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নবীউল্লাহ নবীর মতবিনিময়
- ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতের দালাল’
- অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কড়াইল বস্তিতে ফায়ার সার্ভিসের গণসংযোগ
- ফরিদপুরে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের প্রতিবাদ যুবদলের
- ‘খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালালেও ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি’
- পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- চট্টগ্রামে পুকুর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
- ‘হাসিনা ভারতের পুতুল, যেভাবে নাচায় সেভাবে নাচে’
- মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে : গভর্নর
- চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
- সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় চারজন গ্রেফতার
- কমল স্বর্ণের দাম
- ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
- সিলেটে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
- দায়িত্ব পালন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে চাই : আইজিপি
- টাঙ্গাইলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
- হবিগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
- ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
- ‘যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সেটি হবে সবার জন্য বাসযোগ্য’