ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হলো ৩০০ শিক্ষার্থী

ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে পুলিশের পাশাপাশি ৩০০ শিক্ষার্থীকে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করা হয়েছে। পরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ কাজের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি সম্মানিও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘ডিএমপির ট্রাফিক পক্ষ-২০২৪’ উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, তাদের (৩০০ শিক্ষার্থী) আমরা একটা সম্মানী দেব, এ সম্মানীটা এখানে বলতে চাচ্ছি না। একটা রিজনেবল সম্মানী তাদের দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ডিএমপির ট্রাফিক পক্ষের কার্যক্রম চলমান থাকবে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে প্রায় ২ কোটিরও বেশি লোক এ শহরে বসবাস করে। ঢাকার রাস্তাগুলো অপ্রতুল হওয়ায় যানবাহনের ধারণক্ষমতা বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। ঢাকায় যে পরিমাণ রাস্তা থাকা দরকার, বাস্তবে তা নেই। একই সড়কে রিকশা, ঠেলাগাড়িসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। মানুষ তার প্রয়োজনে এসব যানবাহনের দ্বারস্থ হচ্ছে। ফলে ঢাকা মহানগরীতে সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কঠিনতর হচ্ছে। অপরদিকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়ার কারণে সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে যাচ্ছে এবং বৈধ-অবৈধ যানবাহনের আধিক্যের কারণে যানজট দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর ঢাকাসহ সারা দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে। দেশের জনসাধারণের কথা বিবেচনা করে ছাত্ররা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সড়কে ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করে শৃঙ্খলা বজায় রাখে। তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে। শুধু সরকার কিংবা পুলিশের মাধ্যমে কাজ করে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার আশানুরূপ উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন নগরে বসবাসকারী প্রত্যেকটি জনগণের সস্পৃক্তকরণ। ট্রাফিক শৃঙ্খলা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আনার জন্য ছাত্র-জনতাসহ নগরের জনসাধারণকে সচেতন ও সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে ট্রাফিক শৃঙ্খলা উন্নয়ন সম্ভব। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহাগনর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেন, ঢাকার অন্যতম সমস্যা যানজট। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কতগুলো মৌলিক বিষয় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ট্রাফিক এডুকেশন, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রাফিক এনভায়রমেন্ট ও ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট। সবগুলো সিস্টেম একত্রে কাজ করলে ট্রাফিকে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। ট্রাফিক পক্ষ উদ্বোধন উপলক্ষে একটি র‌্যালি রাজারবাগ ও আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এসে শেষ হয়।