সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক- এ রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নতুন এমডি এবং সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক থেকে এমডি পদে পদোন্নতি ও পদায়ন দিয়ে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আর বাকি ছয় ব্যাংকের এমডি নিয়োগের সুপারিশ করে পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. শওকত আলী খান। এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি মো. মজিবর রহমান এবং অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক ডিএমডি মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
এদিকে রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ডিএমডি মো. আ. রহিম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. জসীম উদ্দিন এবং বেসিক ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. কামরুজ্জামান। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মীর মোফাজ্জল হোসেনকে আনসার-ভিডিপি ব্যাংকের এমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি সালমা বানুকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এমডি, সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি সঞ্চিতা বিনতে আলীকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি চানু গোপাল ঘোষকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংক- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে শেখ হাসিনা সরকারের সময় তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি ও সিইওদের চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে সরকার। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এসব ব্যাংকের এমডিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করতে চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তারপর থেকে এসব ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদ শূন্য ছিল।