গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন সুইডেনের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বিষয়ক দূত ইরিনা শুলজিন-ন্যোনি। সফরকালে তার আলোচনার মূল বিষয় হবে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সহযোগিতা জোরদার করা। গতকাল ঢাকার সুইডেন দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দূতাবাস জানায়, সুইডেন দীর্ঘদিন ধরে বৈশ্বিক পরিসরে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে দেশটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় পরিসরে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার থাকতে একজন বিশেষ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে। রাষ্ট্রদূত শুলজিন-ন্যোনির দায়িত্বের অংশ হিসেবে লিঙ্গসমতা, গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা এই তিনটি বিষয়ে সুইডেনের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে কাজ করছেন। এ সফরে সুইডিশ দূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিসহ নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সহযোগী, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দূতাবাস আরও জানায়, বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষায় সুইডেন উন্নয়ন সহযোগিতা, রাজনৈতিক সংলাপ ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারির মাধ্যমে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, শিক্ষা ও যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ। সফরটি বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইআর) এর সঙ্গে সুইডেনের অংশীদারিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
এই অংশীদারির মাধ্যমে সুইডেন ও ওএইচসিএইআর একসঙ্গে ন্যায়বিচার, লিঙ্গসমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, যার অংশ হিসেবে তারা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, আইন সংস্কার এবং তরুণ ও উদীয়মান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ক্ষমতায়নে সহায়তা দিচ্ছে।