শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মনোবিদের মুখোমুখি

মনোবিদের মুখোমুখি

অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ

সমস্যা

আমার বয়স ২৭। ছাত্রী হিসেবে খারাপ হওয়াতে ৩ বছর গ্যাপ পড়ে যায়। পড়াশোনা শেষ না করায় পরিবার থেকেই অনেক বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। বাবা-মায়ের এককথা, পড়াশোনা শেষ করে তবেই বিয়ে দেবে। এখন আমি মাস্টার্স পড়ছি। এখন আর তেমন ভালো কোনো বিয়ের প্রস্তাব আসছে না। কারও সঙ্গে কখনো সম্পর্ক করিনি, কারণ বাবা-মা পছন্দ করবে না। এখন বাবা-মা আমার জন্য আগের মতো ছেলে দেখেন না। তাই মানসিকভাবে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি। আমার সব বন্ধুর বিয়ে হয়ে গেছে, সবারই এখন বাচ্চা-কাচ্চা রয়েছে। এসব দেখে নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়। দুশ্চিন্তা আর হতাশা আমাকে গ্রাস করে ফেলছে। রাতে ঘুমোতে পারি না। এ ছাড়া দেরিতে বিয়ের জন্য কী আবার কোনো সমস্যা হবে কিনা তাও জানা নেই। পারিবারিকভাবে বিয়েতে অপরিচিত ছেলেদের পছন্দ করতে পারছি না। আসলে কোন ছেলেটা আমার জন্য ভালো হবে! এ ছাড়া আমার জন্য ছোট বোনের বিয়ে এগোচ্ছে না বলেও আমাকে বিয়ে নিয়ে খোঁটা দেয়। এখন আমি প্রচণ্ড হতাশ। কী করব আমি?                                                   - নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

সমাধান

এখন আর আগের যুগ নেই যে, বেশি বয়সে বিয়ে হবে না। এখনকার সময়ে ৩০ বছর পর্যন্ত বয়সের মেয়েদের বিবাহ খুবই সাধারণ বিষয়। আজকাল ভালো শিক্ষিত পরিবারের মেয়েরা কেউই লেখাপড়া শেষ না করে বা প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করেন না। বয়স বাড়ছে তো কী হয়েছে, এতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। হ্যাঁ, মানুষের কথায় হয়তো আপনি হতাশায় ভুগছেন। মানুষের কথায় তাড়াহুড়া করে বিয়ে করাটা ঠিক হবে না। বিয়ে আজীবনের ব্যাপার, খুব ঠাণ্ডা মাথায় দেখে-শুনে করাটাই ভালো। যেহেতু প্রেম করেননি, তাই পারিবারিকভাবেই বিয়ে করা ভালো। আজকাল মানুষ অনেক অ্যাডভান্স হয়ে গেছে। একজন মানুষকে চিনতে খুব বেশি সময় লাগে না। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও অনেক পরিচিত হওয়া যায়। তবে আপনার বাবা-মাকে বলুন, পারিবারিকভাবেই যেন আপনার বিয়ের ব্যবস্থা করেন। কারণ প্রেমের সম্পর্কের চেয়ে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজেই সুখ রয়েছে। বিয়ে তো করতেই হবে। কিন্তু তাড়াহুড়োতে নয়। প্রয়োজনে ছোটবোনকে আগে বিয়ে দিয়ে দিন। আজকাল শিক্ষিত ছেলেরা প্রতিষ্ঠিত মেয়ে চায়। তাই নিজে প্রতিষ্ঠিত হোন, অবশ্যই একজন ভালো জীবনসঙ্গী পাবেন।

সর্বশেষ খবর