শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

হালকা শীতে...

হালকা শীতে...

► মডেল : সনি রহমান, তুলি ও এষা, ছবি : নেওয়াজ রাহুল পোশাক : শিরোনামহীন

শীতের আমেজ লাগতে শুরু করেছে জনজীবনে। গ্রামীণ জনপদে রীতিমতো শীতের ছোঁয়া লেগে গেছে। শহরে শীতের পরশ লাগতে সময় লাগছে ঠিকই, কিন্তু পোশাকের বাজারে কিন্তু শীতের আমেজ লেগেছে। হালকা শীতে ফুলহাতা টি-শার্ট আর টুপিওয়ালা হুডির চাহিদা প্রচুর।

বর্তমানে শীত-পোশাকের বাজারে চলে এসেছে জ্যাকেট, সুয়েটার, শ্রাগ, স্কার্ফ ইত্যাদি। নানা মেটিরিয়ালে অসাধারণ সব কম্বিনেশনে মিলছে এসব পোশাক।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে হালকা শীতে প্রাধান্য পাচ্ছে ফুলহাতা টি-শার্ট আর হুডি। তরুণ-তরুণীদের কাছে হুডি হালের স্টাইল হয়ে উঠেছে। হালকা শীতের মধ্যে এ পোশাকটির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।

আমাদের দেশে হুডি ফ্যাশনের আগমন ঘটে মূলত পশ্চিমা ফ্যাশনের হাত ধরেই। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কানের ভেতর দিয়ে পৌঁছে যেন অবশ করে দিচ্ছে মাথা। কানঢাকা টুপি পরা ছাড়া গতি নেই। শীত তাতে মানে। কিন্তু জিনিসটা তো বড্ড  সেকেলে। ফ্যাশনেবল না হলে কি আর তা পরা যায়? এর সমাধান হুডি। জ্যাকেট বা সোয়েটারের শুধু হুডটা টেনে মাথা ঢেকে  নেওয়া। দেখতেও দারুণ। ব্যস আর কী চাই। হুড পরা তরুণ-তরুণীর সংখ্যা তাই বাড়ছেই।

হুডি কেন পরা হয় এর উত্তর বোধহয় ফ্যাশন আর শীতে আরাম। যে কোনো পোশাকের চেহারা বদলে যায় শুধু হুড যোগ করার ফলে। আর শীতে তো এটা দারুণ কার্যকর। এমনকি গরমেও অনেকে হুডসহ শার্ট পরতে পছন্দ করেন। একটু ভিন্ন রকম ক্যাজুয়াল ভাব আসে তাতে। অনেকের কাছে সাদামাটা কাটের সোয়েটার পরতে ভালো লাগে না। আবার পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাক পরতেও খুব পছন্দ করেন। হুড দেওয়া সোয়েটার বা জ্যাকেট তাই ভালো লাগে তাদের কাছে, যারা শীতে তো পরেনই, গরমেও খাটো হাতার হুডি টপ পরতে ভালো লাগে তাদের কাছে ডেনিম প্যান্টের সঙ্গে হুডি টপ দারুণ ফ্যাশনেবল বলে মনে হয়।

 

 

অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ বছরটিতে হুডির চাহিদাও বেশি। হুডির এ বছরকার বেশি পরিবর্তন এসেছে একরঙা গেঞ্জি কাপড়ের ওপর। টি-শার্টের মধ্যে এমব্রয়ডারি, কটন, হ্যান্ড স্টিচ, চেইন, বাটন, অ্যাপলিক, টাইডাই ও বাটিকের কাজের ওপর বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর রং হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে কালো, অ্যাশ, বাদামি, নীল, লাল, মেরুনসহ আরও কয়েকটি রং। হুডির পকেটের কাটে ভিন্নতা এসেছে। প্রয়োজনমতো বড়-ছোট করার জন্য হুডিগুলোতে থাকছে ফিতার ব্যবস্থা। হুডির নানা দিক নিয়ে দেশীয় ফ্যাশন হাউস প্লাস পয়েন্টের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার সাইফুল ইসলাম বিপুল বলেন, শীতের শুরুতে ব্লেজার বা  সোয়েটার পরার মতো ঠাণ্ডা থাকে না, তাই হালকা শীতে হুডির বিকল্প নেই। সাধারণত শার্ট ও টি-শার্টে হুডির ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এবার বৈচিত্র্য এসেছে হুডিতে। এক কালার শার্টে চেক হুডির ব্যবহার আবার চেক শার্টে নান্দনিক এক কালার হুডি ব্যবহার করা হয়েছে, তবে এবার হুডি শার্ট ও হুডি গেঞ্জি বেশ ভালো চলছে। ডিজাইনাররা বিভিন্ন কটন, কলারের হ্যান্ডস্টিচ, এমব্রয়ডারি, হাতের কাজের চেইন ও বোতামের বৈচিত্র্য, টু-ইন ওয়ানসহ অসংখ্য ডিজাইন করে ব্যবহার করছেন কালো, মেরুন, অ্যাশ, ঘন নীলসহ তারুণ্যের সব রং। মেয়েদের হুডিগুলো সাধারণত কিছুটা শর্ট ফিটিং হয়ে থাকে। বাজারে চামড়ার তৈরি হুডিসহ জ্যাকেটও পাওয়া যাচ্ছে, তবে এর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। মেয়েদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রাইপ দেওয়া রং-বেরঙের হুডি। মেয়েরাও জিন্সের সঙ্গে বেছে নিচ্ছেন হুডওয়ালা জ্যাকেট বা টপস।

ফ্যাশন হাউসগুলোর পাশাপাশি নিউমার্কেট, বঙ্গবাজারসহ নগরীর অভিজাত শপিংমলগুলোতেও বেশ হুডি কালেকশন রয়েছে। হকার্স মার্কেটে গেলে পাবেন মেয়েদের জন্য হুডওয়ালা ওভার কোট।  ছেলেদের জন্যও হুডযুক্ত ওভার কোট পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি গেঞ্জির কাপড়ের সামনে পকেটওয়ালা হুডি পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টু-ইন গেঞ্জির হুডিগুলোর চাহিদা এখন তুঙ্গে। ব্র্যান্ডের হুডিগুলোর দাম পড়বে ৭০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। আর নিউমার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে হুডির দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৭৫০ টাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর