শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঠিকঠাক কনসিলার

নূরজাহান জেবিন

ঠিকঠাক  কনসিলার

মডেল : মৌমিতা, ছবি : ফ্রাইডে

ব্রণ কিংবা ডার্ক সার্কেল সবই মেকআপের সাহায্যে ঢেকে যায়। কিন্তু ডার্ক সার্কেল যেন না হয় সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। মেকআপ তো আছেই। পাশাপাশি সুন্দর চেহারা পেতে সঠিক পর্যাপ্ত ঘুম, একটু যোগব্যায়াম ইত্যাদির অভ্যাসও রাখতে হয়। আপনার ত্বকের ধরন ও পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিন। এটি ফাউন্ডেশনের মতোই, কিন্তু একটু ঘন ও ভারী।

 

সুন্দর মুখশ্রীর জন্য লিপস্টিক, আইশ্যাডো সবই ঠিকঠাক ব্যবহার করলেন। নিয়েছেন বেস মেকআপটাও। তবুও যেন ডার্ক সার্কেল, ব্রণ, অ্যাকনের দাগগুলো দেখা যাচ্ছে। সমাধানে কনসিলার ব্যবহার করুন। এটি ফাউন্ডেশনের মতোই, কিন্তু একটু ঘন এবং ভারী। তবে, ব্যবহারের আগে সঠিক কনসিলার বেছে নিন।

ব্রণ কিংবা ডার্ক সার্কেল সবই মেকআপের সাহায্যে ঢেকে যায়। কিন্তু ডার্ক সার্কেল যেন না হয় সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। মেকআপ তো আছেই। পাশাপাশি সুন্দর চেহারা পেতে সঠিক পর্যাপ্ত ঘুম, একটু যোগ ব্যায়াম ইত্যাদির অভ্যাসও রাখতে হয়। কনসিলার মূলত দুই রকমের হয়ে থাকে। রঙের অসামঞ্জস্যতা ঢাকার জন্য কালার কারেকটিং কনসিলার এবং দাগ ঢাকার জন্য ভারী কভারেজ কনসিলার। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কোন কনসিলার কীভাবে ব্যবহার করবেন? বিউটি এক্সপার্টের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি। কনসিলার ব্যবহার সম্পর্কে ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক ও রূপ বিশেষজ্ঞ জানান, ‘মেকআপ করার সময় চোখের নিচে, চিবুকে অথবা নাকের পাশে রঙের বিভিন্নতা দেখা দেয়। এ রকম অসামঞ্জস্যতা ঢাকতে কালার কারেকটিং কনসিলার বেস্ট। তবে এটি ব্যবহার করতে কালার থিওরি ও কালার হুইল সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।’

 

এবার আসি দাগ ঢাকার জন্য ভারী কভারেজ কনসিলারে। ছোট-বড় দাগ ঢেকে ফেলতে এ ধরনের কনসিলার ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের কনসিলার দিয়ে ব্রণ বা অ্যাকনের মতো দাগও ঢেকে ফেলতে পারবেন। এ ধরনের কনসিলারগুলো নানা শেডের। তরল, ক্রিম বা স্টিক আকারে বাজারে পাওয়া যায়। ডার্ক সার্কেল, ব্রণ, অ্যাকনে বা ত্বকে যদি কোনো দাগ থাকে, তাহলে কনসিলার দিয়ে তা সহজেই ঢেকে ফেলা যায়। তবে মেকআপের জন্য সঠিক কনসিলার বেছে নেওয়াটা খুবই জরুরি। আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের ধরন ভিন্ন। তেলতেলে ত্বকের জন্য ম্যাট ফিনিশ কনসিলারই আদর্শ। বাঙালির স্ক্রিন টোনে সাধারণত অরেঞ্জ কনসিলার ভালো মানায়। তবে খুব হালকা শেড না কেনাই ভালো। অনেকেই ভাবেন হালকা শেডের কনসিলার লাগালে ফর্সা দেখাবে। এটা একেবারেই ভুল ধারণা। কনসিলার যদি ত্বকের সঙ্গে ভালো করে না মেশে তাহলে ত্বকে মেকআপ ফুটে থাকে। কনসিলার লাগানো কিছু নিয়ম আছে। কনসিলার লাগানোর আগে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। এতে কনসিলার ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। তাই কনসিলারের সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার লাগানো জরুরি। তেলতেলে ত্বকের জন্য ওয়াটার বেজড ময়েশ্চারাইজার ভালো। মুখে ন্যাচারাল লুক আনার জন্য দুটি কনসিলার ব্যবহার করতে হবে। একটি ত্বকের রঙের থেকে এক শেড উজ্জ্বল আরেকটি হলুদ বা কমলা রঙের কনসিলার। তবে চোখের কালো দাগ ঢাকতে পেনসিল, লিকুইড বা ক্রিম কনসিলার খুব উপযোগী।

 

অনেকেই কনসিলার ব্যবহার রপ্ত করতে পারেন না বলে মেকআপ করেন ঠিকই কিন্তু ন্যাচারাল লুকসটা আসে না। হাতের অনামিকা আঙ্গুলের ডগায় সামান্য কনসিলার নিয়ে হালকা হাতে দাগের ওপর লাগিয়ে নিন। যদি আপনার কনসিলার লাগানো অভ্যাস না থাকে তবে কটন বারের মুখে সামান্য কনসিলার নিয়ে দাগের ওপর লাগান, এতে আঙ্গুলের ছাপ পড়বে না। ডার্ক সার্কেলের সমস্যা থাকলে কনসিলার লাগানোর পর সামান্য আই ক্রিম লাগাতে পারেন। তারপর ত্বকের যে অংশে দাগ আছে সেখানে কনসিলার লাগিয়ে ব্লেন্ড করুন। কনসিলার কেনার সময় নিজের ত্বকের ধরন বুঝে কনসিলার কিনুন। আপনার স্কিন টোনের কাছাকাছি শেডের কনসিলার কিনবেন। স্টিক, ক্রিম ও টিউব আকারে কনসিলার পাওয়া যায়। কনসিলার কেনার আগের টেস্ট করার জন্য হাতের কব্জি ব্যবহার করুন। কনসিলার লাগানোর পর দাগ মুছে গিয়ে কনসিলারটি মিলিয়ে গেলে বুঝবেন এটি আপনার জন্য উপযোগী কনসিলার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর