শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

রইবে মুখের হাসি...

দাঁতের ব্যথায় দফারফা। কী করে সেই সমস্যা থেকে বাঁচা যায়? সমাধান জানালেন ডা. আহমাদ বুলবুল—



রইবে মুখের হাসি...

দাঁত নিয়ে কম-বেশি সবার প্রচুর সমস্যা। পেইনকিলারে সাময়িক পরিত্রাণ মিললেও সমস্যা তো রয়েই যায়। ডাক্তার বাড়ি দৌড়ঝাঁপ করেই সবারই একটাই কথা, ‘আর পারছি না, সব দাঁতই তুলে দিন।’ এমন ঘটনা প্রায় সবারই।

 

সুন্দর ঝকঝকে ব্যথা মুক্ত দাঁত সবারই কাম্য। কিন্তু কারও ফুটো দাঁত, কারও বা খোদ আক্কেল দাঁত। মোটকথা যন্ত্রণায় কাজের দফারফা। পেইনকিলারে না হয় সাময়িক পরিত্রাণ মিলবে। কিন্তু স্থায়ী সমাধান কী? মুখের দুর্গন্ধ কারও কারও দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি হওয়ারও জোগাড়। তাই অনেকেই দাঁতগুলো উপড়ে ফেলে নকল দাঁত বাঁধিয়ে নিতে চান। মনে করেন, ঝামেলা বিদায়। আসলেই কি তাই!

 

‘এমনটা আমি মানতে নারাজ।’ বলছিলেন ডেন্টাল স্পেশালিস্ট ডা. আহমাদ বুলবুল। অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে জানালেন, ‘দাঁতের ব্যথা এমনই, অনেকেই মুখ হাঁ করে দাঁত দেখাতে ভয় পান, আবার অনেকেই ব্যথায় দাবি জানান দাঁত তুলে দিন! কিন্তু দাঁত তুললে তো ঝামেলা কমে না বরং বাড়ে। মুখের ভিতরের ব্যালেন্সটাই নষ্ট হয়ে যায়।’

 

প্রতিদিন স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পান, সিগারেট, তামাক, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়, কফি, চা, চকলেট কিংবা কোমল পানীয় সবারই চলে। এতে দাঁতে দাগ বসে যায়। সেই দাগ তুলতে আবার শক্তি খাটিয়ে ব্রাশ করেই বাধান বিপত্তি। দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়। কোমল পানীয়র কার্বোনেট দাঁতের ক্ষয় করে শিরশির অনুভূতি বাড়ায়।

 

দাঁত বাঁচানোর দাওয়াই

আলসেমি আর সময়ের অভাব। দুই মিলে অনেকেই রাতে ঘুমানো আগে দাঁত ব্রাশ করেন না। এতে খাবার দাঁতের গোড়ায় ঢুকে রাতভর থেকে অ্যাসিড তৈরি করে দাঁত ক্ষইয়ে ফেলে। বলতে পারেন ব্রাশ তো করি! কিন্তু যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই যায়। অনেকের ধারণা, দীর্ঘ সময় ব্রাশ করলে দাঁত পরিষ্কার হয়। ধারণাটি ভুল। ব্যথা না হওয়া পর্যন্ত গরজও থাকে না। দাঁত ব্রাশ এক থেকে দুই মিনিট করাই উত্তম এবং তা সঠিকভাবে যেমন- উপর থেকে নিচে, নিচ থেকে উপরে। অনেকেই খাওয়ার পরেই টুথপিক বের করে দাঁত খোঁচানো শুরু করেন। এক সময় করলেই খাবার বেরিয়ে আসে আপনি নিশ্চিন্ত। কিন্তু তত দিনে হাড় ক্ষয়ে যায়। এজন্য মাঝেসাঝে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা জরুরি।

 

সমাধান

ক্যাভিটি বড় হয়ে নার্ভ পর্যন্ত চলে গেলে ব্যথা বাড়ে। সেক্ষেত্রে আগে দাঁত তুলে ফেলা হতো। এখন রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্টে দাঁত বাঁচানো হয়। এতে দাঁতের সংক্রামিত নার্ভ ও রক্তজালিকা বের করে দেওয়া হয়। ওপরে ক্যাপের মতো ক্রাউন পরিয়ে দেওয়া হয়। বছরে অন্তত একবার স্কেলিং করিয়ে নিলে দাঁত খোয়াবেন না। প্রতিদিন একবার গরম লবণ-পানি দিয়ে কুলি করার অভ্যাস করুন। দাঁত ও মাড়ির রোগ প্রতিরোধের সঙ্গে মুখের বাজে গন্ধ থেকেও পরিত্রাণ মিলবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর