শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সোনামণির হেলদি ফুড হ্যাবিট

সন্তানের খাওয়া নিয়ে সব মায়েরই দুশ্চিন্তা। সন্তান কিছুই খেতে চায় না। আর যদিও খেতে চায় তাও কেবল জাংক ফুড। ঘরে তৈরি ডাল, মাছ, ভাত, সবজিতে অ্যালার্জি কিন্তু বার্গার, চিপস, পিত্জা বা কোমল পানীয় দেখলেই একগাল হাসি। ফলে সন্তানের শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। আক্রান্ত হয়ে পড়ে নানা রকম অসুখ-বিসুখে।

 

এ ক্ষেত্রে দোষ কিন্তু শুধু সন্তানের নয়। একটু গভীরে গেলেই বোঝা যাবে বাবা-মায়েদেরও কিছুটা ভূমিকা থেকে যায়। নিউট্রিশিয়ানদের মতে, সন্তানের প্রয়োজন হেলদি ইটিং হ্যাবিট, যা বাবা-মা ছেলেবেলা থেকেই সন্তানের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে দিতে পারে। এর জন্য অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে নিজেদের খাদ্যাভ্যাসে। কারণ, বাবা-মায়ের চেয়ে বড় রোলমডেল সন্তানের কাছে আর কিছু নেই। এ ছাড়া তিনি আরও কিছু সমাধানের উপায় বলে দেন। সেগুলো জেনে নিন...

 

হেলদি ফুড হ্যাবিট

বাসাতেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরিবেশ তৈরি করুন। ছেলেবেলা থেকেই সন্তানকে খাবারের ব্যাপারে সচেতন করে তুলুন। কোন খাবারটা স্বাস্থ্যকর আর কোনটা নয় তা যেন ও দেখেই বুঝতে পারে। প্রথম ধাপই হলো সচেতনতা। বাসায় জাংক ফুড নিয়ে আসা এবং খাওয়া বন্ধ করুন। চিপস, চকলেট, কোল্ড ড্রিংক বাসায় জমা করে রাখবেন না। বাসায় এই খাবার মজুদ না থাকলে সন্তানের খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে। জাংক ফুডের বদলে ফ্রিজে রেখে দিন ফল, যাতে সন্তানের ক্ষুধা পেলেই হাতের কাছে ফল পায়। এ ছাড়া সালাদের অভ্যাসও করাতে পারেন। ডাইনিং টেবিলের ওপরে বাস্কেটে ফল সাজিয়ে রাখুন, যাতে আসতে-যেতে সবাই ফল খেতে পারে। ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চে রেডিমেট বা সেমি কুকড খাবার খাবে না। বাসায় তৈরি খাবারই খাবে। তাহলে হেলথ এবং হাইজিন দুটোই মেইনটেইন করতে পারবে। সন্তান একটু বড় হলেই রান্নাতেও সাহায্য করতে শেখান। প্রথমেই ওকে দিয়ে সহজ সহজ কাজগুলো করান। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে ও অনেক কিছু শিখতে পারবে। চা বানানো, কেক বেক করা বা সালাদ সাজানো শেখাতে পারেন। রান্না করার সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। রান্নার বিষয় ওর সঙ্গে আলোচনা করুন। দেখবেন ও নিজেই অনেক কিছুই শিখে যাচ্ছে। এতে বাসায় রান্না করা খাবারের প্রতি ওর আগ্রহ বাড়বে। আর স্বাস্থ্যকর এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যেও পার্থক্য করতে পারবে। যেসব বাচ্চা সবে স্কুলে যাচ্ছে বা যাবে, তাদের কাছে খাবার টেবিলটাই একটা মজার স্কুল হয়ে উঠতে পারে। বিভিন্ন খাবার চেনা, রং, গন্ধ, স্বাদ চেনার সহজ পাঠ। খাবারের ওজন, আকার, আয়তন পরখ করেও অনেক কিছু শিখে নিতে পারে ছোটরা। একটু বড়দের খাবারে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারেন। তবে কখনই আহ্লাদে বা ঘুষ দিয়ে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।

সর্বশেষ খবর