শিরোনাম
শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঠান্ডা মৌসুমে চুল

♦ শীতকালে চুল ভালো রাখতে মাসে অন্তত একবার ট্রিটমেন্ট করতে পারেন।
♦ সপ্তাহে ২-৩ দিনের বেশি শ্যাম্পু নয়। ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে।
♦ প্রখর সূর্যকিরণ চুলের রুক্ষতা বাড়ায়। তাই মাথার সৌন্দর্য রক্ষার্থে স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

ঠান্ডা মৌসুমে চুল

♦ মডেল: মনি ইসলাম ♦ ছবি: মহসিন আব্বাস

শীত মানেই যেন ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’। বছরজুড়ে যেসব স্টাইল করবেন ভেবেও প্যাচপ্যাচে গরমে আর ভরা বর্ষায় করে উঠতে পারেননি শীতে তা চোখ বুজে ট্রাই করতে পারেন। কিন্তু সব আয়োজনই নষ্ট করে দিতে পারে  প্রকৃতির ঠান্ডা আবহাওয়া। ঋতু পরিবর্তনে চুলের ধরনের পরিবর্তন হয়। কারণ, শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় আমাদের সাধের চুল রুক্ষ হতে শুরু করে। শীতের আবহাওয়া চুলের স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটির পরিমাণ বাড়ে, ফলে চুল কিছুতেই সমানভাবে বসে না। ফলে চুল খাড়া হয়ে ফুলে থাকে। এ ছাড়া বাইরের ধুলাবালিও চুলকে রুক্ষ করে তোলে। তাই সম্ভব হলে শীতকালে মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

 

সাধের চুলের এই রুক্ষতা দূর করার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কেননা, বিউটি একপার্ট বা কসমোলজিস্টরাই বলে দিতে পারেন ঠিক কী কারণে চুলের রুক্ষতা বাড়ছে। এবং সমস্যা অনুযায়ী সঠিক সমাধান না নিলে চুলের আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। চুল খুব বেশি রুক্ষ হয়ে গেলে আপনাকে যেতে হবে বিউটি ক্লিনিকে। সেখানে হেয়ার ড্যামেজ রিপিয়ার, স্মুদনিং, ইনটেনস রিপিয়ার, কেরাটিন বন্ড (অবশ্যই কেমিক্যাল কেরাটিন ট্রিটমেন্ট নয়), স্পা ইত্যাদি সার্ভিস পাবেন। বিউটি ক্লিনিকের এক্সপার্ট বা কসমোলজিস্ট আপনার চুলের ক্ষতির ধরন অনুযায়ী হেয়ার ট্রিটমেন্ট দিয়ে দিবেন। ক্লিনিক্যালি হেয়ার ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি তাদের পরামর্শে নিতে পারেন হার্বাল বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা। চুলের রুক্ষতা দূরীকরণে আজকাল বাজারে নানা রকম হার্বাল বা আয়ুর্বেদিক প্রসাধনীর ছড়াছড়ি। কিছু কিছু প্রসাধনী মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। না জেনে এসব প্রসাধনী ব্যবহারে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হতে পারে।

 

এ ছাড়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বাসায় হেয়ার স্মুদ রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন খাঁটি নারিকেল তেল। শ্যাম্পু করার আগে নারিকেল তেল দিয়ে চুল এবং মাথার স্ক্যাল্পে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সম্ভব হলে নারিকেল তেল হালকা গরম করে নিন। মাথায় তেল ম্যাসাজ করার পর শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা হট টাওয়েল দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখুন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার বা সিরাম লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুব বেশি রুক্ষ চুল স্মুদ করতে ট্রাই করতে পারেন হেয়ার প্যাক। টক দই, ডিমের সাদা অংশ খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। সঙ্গে নিমের তেল এবং অ্যালোভেরা নির্যাসযুক্ত জেল মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি চুল এবং মাথার স্ক্যাল্পে ভালোভাবে লাগান। ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর চুল শুকিয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন এটি ব্যবহারে আপনার চুল হবে কোমল ও মসৃণ। আর হ্যাঁ, এই সময় চুল শুকাতে ড্রায়ার বা অন্যান্য হিটিং টুল এড়িয়ে চলা উচিত।

 

এ সময় নিয়মিত যতœই চুলকে রাখবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত। পাশাপাশি পরিষ্কার রাখবে মাথার ত্বককেও। পার্টি বা নানা আয়োজনে চুলে এ সময় অনেক কিছুর ব্যবহার যেমন ¯েপ্র,  হেয়ার জেল, হেয়ার কালার চুলকে করে নি®প্রাণ। আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চটচটে বা রাসায়নিক তরল পদার্থ অনেকাংশে চলে যাবে। এতে করে চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখা যাবে। চুলের রুক্ষতা সারাতে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার না করেও কিন্তু ঝলমলে চুল পাওয়া যাবে। এক চামচ বেকিং সোডা এক বাটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক বাটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এটা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল নরম করার জন্য কন্ডিশনার হিসেবে মধু মেশাতে পারেন। মাত্র ৪-৫ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।

 

শোভন সাহা

কসমোলজিস্ট, শোভন মেকওভার

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর