শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শীতে রুক্ষ ত্বকের প্রয়োজনীয় সমাধান

♦ ত্বকের রুক্ষতা রোধে গ্লিসারিন ভালো। তবে সরাসরি না লাগিয়ে পানি মিশিয়ে নিন।
♦ সানফ্লাওয়ার অয়েল ত্বকের রুক্ষতায় দারুণ কার্যকর। গোসলের আগে শরীরে মেখে নিন।
♦ বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে ত্বকের সুরক্ষায় দুই ঘণ্টা পরপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

শীতে রুক্ষ ত্বকের প্রয়োজনীয় সমাধান

♦ মডেল : শাহনাজ চিত্রা ♦ ছবি : সাইফুল

শীত তো এসেই গেল। নিশ্চয়ই ত্বকে টান ধরতে শুরু করেছে। ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে কিছুক্ষণ বাদে আবার যেই সেই। শীত আসলে এমনই। এখন ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বক হয়ে পড়বে নিষ্প্রাণ। আর কদিন বাদেই ক্রিসমাস, নিউ ইয়ার... বিয়ে, পার্টি-পিকনিক আরও কত শত আয়োজন! আর এসব কিছুর জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। রইল পরামর্শ... বিদায় জানান শুষ্ক ত্বককে।

 

শীতে ত্বক শুধু বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণেই রুক্ষ হয় না। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গিয়েও ত্বকে রুক্ষতা দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই এ সময় পানি কম পান করা হয়। এটা ঠিক নয়, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পানিপানের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। শরীরের যাবতীয় টক্সিস দূরে সরিয়ে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে পারে কেবল পানিই। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না। সঙ্গে প্রচুর ফ্রুট জুস ও সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ খান। খাবারের তালিকায় রাখুন শীতকালীন শাক-সবজি।

শীতে জেল-বেসড যাবতীয় (ফেসওয়াশ হোক বা মেকআপ প্রসাধনী অথবা সাবান) প্রসাধনীর বদলে ব্যবহার করুন ক্রিম-বেসড প্রসাধনী। কারণ, ক্রিম-বেসড যে কোনো প্রসাধনীতেই তেল থাকে। যা ত্বকে একটা প্রোটেকটিভ লেয়ার তৈরি করে। ফলে কনকনে ঠাণ্ডায়ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। শীতের রোদ অনেক আরামের হলেও তা কিন্তু ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। চামড়া পুড়বেই। তাই শীতের এই সময় ইউভি ও এসপিএফ১৫যুক্ত প্রোটেকশন -সহ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। বাড়ি থেকে বেরোনোর ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। শুধু মুখে নয়, হাত বা শরীরের যে যে অংশ খোলা থাকবে সেসব অংশেও লাগান। তবে এ সময় ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে বডি অয়েলের তুলনা হয় না। গোসলের আগে নিয়ম করে অন্তত ১০ মিনিটের জন্য একটা বডি অয়েলিং সেশন রাখুন। এ ক্ষেত্রে বেবি অয়েল বা অলিভ অয়েল বেছে নিতে পারেন। নিয়ম করে এ ফরমুলা মেনে দেখুন, শীতের রুক্ষতা ছাপিয়ে আপনার ত্বক নরম, কোমল ও তুলতুলে হবেই।

শীতে আমাদের মধ্যে অনেকেই ঠান্ডা স্পর্শ করতে নারাজ। তাই অনেকেই গরম পানিতে গোসল করেন। তবে গরম পানি ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে ত্বকে থাকা প্রাকৃতিক ময়েশ্চার ধুয়ে ফেলে। তাই ঠান্ডা পানিতেই গোসল ও মুখ ধোওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া শুষ্ক ত্বকের মরা চামড়া সরাতে  সপ্তাহে  এক দিন এক্সফোলিয়েশন করা প্রয়োজন।

 

ঘরে রূপচর্চার জন্য ফেসওয়াসের পরিবর্তে ব্যবহার করুন ফেস ক্লিনজার। এরপর টোনিং করুন টোনার দিয়ে। দিনে সানব্লকযুক্ত কোল্ড ক্রিম ও রাতে কোল্ড লাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। ত্বকে খুব বেশি টান অনুভব হলে ঘি বা নারকেল তেল কিছুক্ষণ লাগিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এ ছাড়া রুক্ষতা দূর করার জন্য কোনো ঘরোয়া প্যাক নেই। অবশ্যই পারলারে গিয়ে মাসে দুবার ফেসিয়াল করাতে পারেন। সম্ভব হলে হাইড্রেসেন ট্রিটমেন্ট, সফটোনিং ফেসিয়ালও করাতে পারেন।

 

শোভন সাহা

কসমোলজিস্ট, শোভন মেকওভার

সর্বশেষ খবর