শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রূপচর্চায় তেজপাতা

আমাদের দেশে শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় অন্য সময়ের তুলনায় শরীর শুষ্ক হয়ে যায় বেশি। এই সময়ে প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা খুবই উপকারী-

উম্মে হানি

রূপচর্চায় তেজপাতা

মডেল : ইসমিত জেরিন মিথিলা

রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর জন্য তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। তেজপাতায় রয়েছে স্বাস্থ্যজনিত বেশ কয়েকটি গুণ। এ ছাড়া রূপচর্চার ক্ষেত্রেও তেজপাতাকে এড়ানো যায় না। রূপচর্চায় তেজপাতার গুণ রয়েছে অনেক। যেমন মাথার খুশকি তাড়াতে শুকনো তেজপাতার গুঁড়ার সঙ্গে টক দইয়ের প্যাক ভালো ফলাফল দিতে পারে। এই প্যাক চুলে নিয়মিত লাগিয়ে শ্যাম্পু করতে হবে। আবার এই পানি কন্ডিশনার হিসেবে চুলে ব্যবহার করা যায়। দাঁতে হলুদ ছোপ থাকলে পেস্টের সঙ্গে তেজপাতা বাটা মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে হলুদভাব কেটে যায়। রোদে পুড়ে আমাদের ত্বকে অনেক জায়গায় ট্যান পড়ে যায়। তেজপাতা বাটা ও টক দই একসঙ্গে পেস্ট  করে  ট্যান পড়া জায়গায় নিয়মিত লাগালে দাগ দূর হয়।

মুখের ব্রণ দূর করতে তেজপাতার আছে জাদুকরী শক্তি। একটি প্যানে ২ কাপ পানিতে ৫টি শুকনো তেজপাতা নিয়ে ঢেকে জ্বাল দিতে হবে। এরপর ঢাকনা খুলে ২ মিনিট জ্বাল দিয়ে সসপ্যান নামিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি তোয়ালে দিয়ে মাথাসহ সসপ্যানটি ঢেকে ভাপ নিজের ত্বকে নিতে হবে। এভাবে মিনিটদশেক ভাপ নিলেই যথেষ্ট। সপ্তাহে দুইবার এভাবে করলেই দূর হয়ে যাবে ব্রণ ও রিংকেল।

তেজপাতার অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের যে  কোনো ইনফেকশন দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকর। ছোটখাটো কাটাছেঁড়া, জখমের দাগ এবং পোকামাকড়ের কামড়ের সমস্যা সহজেই দূর করতে পারেন কাঁচা তেজপাতার রসের মাধ্যমে। পানিতে  তেজপাতা ভালো করে ফুটিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে চুল পড়ার সমস্যা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। এ ছাড়াও তেজপাতার তেল মাথার ত্বকে লাগালে চুলের খুশকি সমস্যা থেকেও দ্রুত রেহাই পাওয়া যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর