শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিয়েবাড়ির আয়োজন

সাইফ ইমন

বিয়েবাড়ির আয়োজন

বিয়ে মানেই মহাযজ্ঞ। বাড়িজুড়ে নানা আয়োজন। শুরুতে চাই ভেন্যু নির্বাচন। তাতে যেমন থাকবে আধুনিক বা সাবেকিয়ানার আমেজ। তেমনই থাকবে মজাদার ডিশের রমরমা সাজ।

 

বাঙালির বিয়ে মানেই মহাযজ্ঞ। পুরো বাড়িজুড়ে নানা আয়োজন। আর সেসব নিয়ে তোড়জোড়ের কমতি নেই। এতসব আয়োজন! তবে শুরুতেই ভাবতে হয় বিয়েবাড়ি বা ভেন্যু নিয়ে। এরপরই আসে মেন্যুর বিষয়। আর সব কিছুর বিস্তারিত জানাব এই ফিচারে।

 

বিয়ের ভেন্যু

বিয়ের ঠিক পরের কর্তব্যই হলো বিয়ের ভেন্যু ঠিক করা। মনের মতো ভেন্যু পেতে হাতে রাখতে হবে ন্যূনতম বেশ কয়েক মাস সময়। কেননা, আজকাল দৃষ্টিনন্দন বিয়েবাড়ি আর ভেন্যুগুলো আগে থেকেই বুকিং দেওয়া থাকে। ফলে ভাড়ায় বিয়েবাড়ি পেতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। তাই বিয়ের দিন ঠিক করার সময় আশপাশের আরও কয়েকটি শুভ দিন দেখে রাখা ভালো। এতে বিয়েবাড়ি বা ভেন্যু ভাড়া পেতে সুবিধা হয়। আজকাল ঘরের কাছে বিয়েরবাড়ির প্রচুর অপশন রয়েছে। নজরকাড়া কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি হল, বড় বড় হোটেল-রেস্টুরেন্ট এবং ক্লাব বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়ায় পাওয়া যায়। আজকাল মানুষ বেশ শৌখিন ও রুচিশীল। শহুরে বেশিরভাগ ভাড়া বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে বিয়ের বাড়ি বা ভেন্যুর ইন্টেরিয়র এবং আউটডোরের সাজসজ্জার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আজকাল আউটডোরে বিয়ের অনুষ্ঠানও কিন্তু বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সুদৃশ্য লন, ফোয়ারা, ঝকঝকে অন্দরমহল, মার্বেল বা কার্পেট বিছানো মেঝে সবকিছু বিবেচনা করে ভাড়া নেওয়া হয় এসব বিয়ের ভেন্যু। অনেক জায়গায় আবার থাকে লাইভ কনসার্টের ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্থানে বিয়ে লাইভ দেখানোর জন্য থাকছে বড় স্ক্রিনের এলসিডি টিভি ব্যবস্থা। পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ডেস্টিনিশেন ওয়েডিং। চেনা গণ্ডির বাইরে প্রকৃতির কাছাকাছি বিয়ের মাধ্যমে নতুন জীবন শুরু করার মধ্যে থাকে এক আনন্দ। এজন্য বিদেশে পাড়ি দিতে হবে এমনটাও নয়। দেশের ভিতরই অনেকে বেছে নিচ্ছেন সমুদ্র সৈকত এবং সবুজে ঘেরা নির্জন পাহাড়।

 

বিয়ের ক্যাটারিং

বিয়ের ভোজ মানেই এলাহি আয়োজন। প্রত্যেকেই চান বিয়ের মেন্যু হোক এক্সক্লুসিভ এবং ট্রেন্ডি। তাতে যেমন থাকবে আধুনিক বা সাবেকিয়ানা আমেজ, তেমনই থাকবে কন্টিনেন্টাল ডিশের রমরমা আয়োজন। শহরের খ্যাতিমান ক্যাটারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য দিচ্ছে তার নিশ্চয়তা। কারণ বিয়ের আয়োজনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিয়ের খাবার-দাবার। বিয়ের ভোজন বিলাসটি যদি মন মতো না হয় তবে পুরো আয়োজনটাই মাটি। ক্যাটারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোও বিয়ের আয়োজনের জন্য গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরে বিভিন্ন রকম প্যাকেজ। ক্লাইন্ট শুধু পছন্দমতো প্যাকেজ বেছে নেবেন। বাকিটুকু ক্যাটারিং সার্ভিসের হাতে। এর বাইরেও কোনো কোনো গ্রাহক চাইলে নিজেরা সবকিছু কিনে দিতে পারেন বাবুর্চির হাতে। এক্ষেত্রে সবকিছু কেনার ঝামেলা তাদের করতে হয়। এ ছাড়া বিশেষ প্যাকেজে গ্রাহক মেন্যু দেবে আর অতিথির সংখ্যা বলবেন। বাকি সবকিছু করে দেবেন ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানি। সব ক্যাটারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ম একই। তাছাড়া পুরান ঢাকার খ্যাতিমান খাবারের দোকান এবং রেস্তোরাঁগুলোও এসব বিয়ের ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। বিশেষ করে বরের খাবার সাজানো, আস্ত খাসির রোস্ট এবং বিয়ে সংক্রান্ত সব ধরনের খাবারের পাত্র পরিবেশনের কাজ হয়। দেশের স্বনামধন্য ক্যাটারিং কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফখরুদ্দিন বিরানি এবং ইকবাল ক্যাটারিং অন্যতম। চিটাগাং মেজবানি, জিনজিয়ান, কুটুমবাড়ি, বিয়েবাড়িও অন্যতম। রয়েছে গুলশান-ধানমন্ডির অনেক নামিদামি রেস্তোরাঁও।

 

আর বিয়ের বাড়ির এসব আয়োজন সম্পন্ন করে দেবে ওয়েডিং প্ল্যানাররা। শুধু বাজেট বলে দিলেই ওয়েডিং ভেন্যু, ডেকোরেশন ও খাওয়া-দাওয়া সবকিছুর দায়িত্ব নেবে তারাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর