শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্বাগত সতেজ চুল

ঋতুরানী বসন্ত চলছে। সময়টা হালকা গরম এবং হালকা ঠাণ্ডার। বাড়তি পাওয়া রুক্ষতা। নিত্যদিনের ধুলাবালি তো আছেই!

নূরজাহান জেবিন

স্বাগত সতেজ চুল

♦ মডেল : তানজিন তিশা ♦ ছবি : ফ্রাইডে

সময় এখন গরম-ঠাণ্ডার। চুল নিয়ে এ সময় চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানান সুস্থ চুলের গল্পকথা। কসমোলজিস্টদের মতে, শুষ্ক দিন এখনই শেষ হয়নি। এ সময় কীভাবে খুব সহজে এগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সে বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া বাইরের ধুলোবালি বাড়তি যন্ত্রণার কারণ। চুলকে সতেজ রাখতে সব সময় চাই ঠিকঠাক শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং ময়েশ্চারাইজার। পাশাপাশি প্রয়োজন হেয়ার স্পা এবং হেয়ার মাস্কের এক্সট্রা পুষ্টি।

 

হেয়ার স্পা এবং স্টিম করান

৪ চা চামচ নারিকেল তেল, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল, ২ চা চামচ আমন্ড অয়েল, ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল হালকা গরম করে নিন। এতে ২টা ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল মেশান। এবার পুরো চুল কয়েক ভাগে ভাগ করে আস্তে আস্তে স্কাল্পে তেলটা লাগান। সব শেষে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। এবার বালতিতে গরম পানি ঢেলে তাতে টাওয়েল ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। এবার ওই টাওয়েল দিয়ে পুরো মাথা এবং সব চুল পেঁচিয়ে মিনিট দশেক অপেক্ষা করুন।

 

শ্যাম্পু করুন দুদিন পর পর

চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু বেছে নিন। এতে চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হবে না। তবে শ্যাম্পু কেনার আগে শ্যাম্পুটি শুষ্ক চুলের জন্য উপযোগী কি না তা দেখে নিন। চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তবে ঘন ঘন শ্যাম্পু একদমই নয়। কারণ, অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল ন্যাচারাল অয়েল হারায়, তা ফিরে আসতে অন্তত দুদিন সময় লাগে। বিশেষজ্ঞরা এ ক্ষেত্রে দুদিন পরপর শ্যাম্পু করার পরামর্শ দেন।

 

শ্যাম্পু শেষে কন্ডিশনিং

চুলের গোড়া থেকে কমপক্ষে তিন সেন্টিমিটার দূর থেকে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুল চকচকে হবে। মসৃণও লাগবে। চুলের গোড়া বাদে পুরো চুলে ভালোভাবে কন্ডিশনার লাগিয়ে রাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। নরম টাওয়েল দিয়ে চেপে চেপে চুলের বাড়তি পানি মুছে নিন।

 

চুলের সঠিক ময়েশ্চারাইজার

চুলকে সতেজ রাখতে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে সব সময়। এ ক্ষেত্রে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। এটা চুল চকচকে আর মসৃণ করতে সাহায্য করবে। ভেজা চুলে সিরাম ব্যবহার করলে চুলের শুষ্ক ও নিস্তেজ ভাব দূর হয়। চুলে দ্রুত শাইনিং ভাব ফিরে আসে।

 

চুলচর্চায় এসেনশিয়াল অয়েল

ল্যাভেন্ডার, অরেঞ্জ, রোজমেরি এসেনশিয়াল আপাত সাধারণ উপকরণ মনে হলেও এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভালো থাকার জাদুমন্ত্র। সুগন্ধে ভরপুর এসেনশিয়াল অয়েল আপনাকে রিফ্রেশ করতে যেমন অব্যর্থ, তেমনই ত্বক বা চুলের যতেœও দারুণ কার্যকর। ক্যারিয়ার অয়েল হিসেবে আপনি তিল তেল, অলিভ অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, অ্যাভোকাডো অয়েল, আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

 

হেয়ার মাস্ক ব্যবহার

১টা ডিম, ১টা মাঝারি আকারের পাকা কলা, ৩ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ টেবিল চামচ টক দই, ২ চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অর্গানিক নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার চুলে গোড়া থেকে আগা অবদি লাগিয়ে নিন। এরপর শাওয়ার ক্যাপ পরে কমপক্ষে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। শেষে এক মগ পানিতে ৪ চা চামচ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে চুল ধুয়ে ও মুছে বাতাসে শুকিয়ে নিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর