শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

মিশ্র ত্বকের দাওয়াই

মিশ্র ত্বকের দাওয়াই

মডেল : আনিকা খান ♦ ছবি : আতিক আনন্দ

মুখ ত্বকের একাংশ তেলতেলে, আরেকাংশ শুষ্ক। এমন ত্বককে ক্লিনিক্যালি ভাষায় মিশ্র ত্বক বা কম্বিনেশন স্কিন বলা হয়। এ ধরনের ত্বকের অধিকারীরা ভীষণ সমস্যায় ভোগেন। কোথায় কেমন মেকওভার? কিংবা কীভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন? তা নিয়ে সন্দিহান থাকেন বেশির ভাগ ভুক্তভোগী। এমন ত্বকের সমাধানে শুরুতে জানতে হবে কোথায় কোথায় ত্বক তৈলাক্ত বা শুষ্ক থাকে। এবং সে অনুযায়ী ট্রিটমেন্টও করতে হবে।

 

মিশ্র ত্বকের সংজ্ঞা

আমাদের মধ্য সবার মুখ ত্বকের ধরন এক রকম নয়। কারও ত্বক তৈলাক্ত, কারও শুষ্ক, কারও সেনসিটিভ এবং কেউ কেউ মিশ্র ত্বকের অধিকারী হয়ে থাকেন। মুখ ত্বকের একাংশ তেলতেলে, কিন্তু আরেক অংশ একদম শুষ্ক- এটাই মিশ্র ত্বকের প্রধান বিশেষত্ব। মিশ্রত্বকে সাধারণত মুখের টি-জোনকে তেলতেলে অংশে তালিকায় ফেলা হয়। অর্থাৎ কপাল, নাক ও চিবুকে তেলে ভাবের আধিক্য দেখা যায়। এর বাইরে বাকি মুখ অর্থাৎ গাল, চোয়াল আর চুলের চারপাশে ফুটে ওঠে শুষ্কতা।

 

কেন এবং কী কী সমস্যা দেখা দেয়?

বিশেষজ্ঞরা মিশ্র ত্বকের কারণ হিসেবে বহুবিধ কারণ উল্লেখ করেন। সাধারণত, বংশপরম্পরা ও হরমোনের কারণে ত্বকে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। আবার ক্ষেত্রে বিশেষে কিছু কিছু মানুষের অতিরিক্ত  কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণে মিশ্রত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের ত্বক পুরোপুরি না শুষ্ক না তৈলাক্ত। এ ধরনের ত্বকের মৃত কোষ জমে ত্বক হয়ে ওঠে নির্জীব এবং খসখসে। সেই সঙ্গে থাকে ব্রণ এবং র‌্যাশের সমস্যা।

মিশ্র ত্বক বোঝার উপায়

ত্বক মিশ্র কি না, তা বের করার সহজ পদ্ধতি রয়েছে। এজন্য বেশি কোনো আয়োজনের প্রয়োজন নেই।  প্রথমে ভালো কোনো ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম না মেখে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। নির্দিষ্ট সময়ের পর যদি শুধু কপাল ও নাকে তেলতেলে ভাব ফুটে ওঠে এবং বাকি অংশ শুষ্ক দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে ত্বক মিশ্র। এ ছাড়া ব্লটিং পেপার দিয়ে এর পরীক্ষাটি সেরে নিতে পারেন। ত্বকের বিভিন্ন অংশে ব্লটিং পেপার চেপে ধরলে তেলতেলে আর শুষ্কতার প্রমাণ মিলবে।

 

মিশ্র ত্বকের যত্ন

ত্বক শুধু শুষ্ক, স্বাভাবিক কিংবা তৈলাক্ত হলে এর যত্ন নেওয়াটা সহজ। কিন্তু মিশ্র ত্বকের যত্ন নেওয়াটা জটিল। এক্ষেত্রে বিউটি ক্লিনিক্যালি পরামর্শ নিতে পারেন। কসমোলজিস্টরা আপনার ত্বককে ভাগ করে (তেলতেলে এবং শুষ্কতার ওপর নির্ভর করে) কয়েক ধরনের ট্রিটমেন্ট দিবেন। মিশ্র ত্বকের জন্য বাজারে স্পেশাল ফেসওয়াশ, নাইট ক্রিম, ডে ক্রিম, সানব্লক ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া প্রতিদিন দুই ধরনের ত্বকের উপযোগী করে এমন একটা প্রাত্যহিক নিয়ম গুছিয়ে তা মেনে চলতে হবে। সব ধরনের ত্বকের মতো মিশ্র ত্বকের জন্য ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং মাস্ট। এ ছাড়া সপ্তাহান্তে ক্লে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার, চন্দন, আঙ্গুর এবং গাজরের মতো প্রাকৃতিক এসেনশিয়াল অয়েল অনেক বেশি উপকারী।

 

শোভন সাহা

কসমোলজিস্ট, শোভন মেকওভার

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর