শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

বৈশাখের খাবার কেমন হওয়া উচিত!

বৈশাখের খাবার কেমন হওয়া উচিত!

ছবি : ইন্টারনেট

বৈশাখ মানেই নববর্ষ। লাল-সাদা শাড়ি, চুড়ি, টিপ ও সাজসজ্জার পাশাপাশি মুখরোচক খাবারের আয়োজন। পান্তা-ইলিশ ছাড়া নববর্ষের আনন্দ উপভোগের জন্য রয়েছে আরও অনেক ধরনের মুখরোচক সব বাঙালি খাবার।

বাংলা নববর্ষ বাঙালির সর্ববৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসব। এ উৎসব বিশেষ কোনো ধর্মের মানুষের নয়, সবার। এখন পয়লা বৈশাখে পান্তা ও ইলিশ নিয়ে মেতে ওঠে পুরো জাতি। কিন্তু এর বাইরেও অনেক খাবার রয়েছে যা গ্রীষ্ম বা বৈশাখের দিনগুলোতে খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর।

♦ বৈশাখে সবার প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি হলো পান্তাভাত। এটি শর্করার খুবই ভালো উৎস।

পান্তাভাতে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে। থায়ামিন ভিটামিন ছাড়াও কিছু ভিটামিন পান্তাভাত থেকে পাওয়া যায়। পান্তাভাত ওজন বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। যাদের ওজন বেশি, তারা বৈশাখে কেবল অল্প পান্তাভাত খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের পান্তাভাত না খাওয়াই ভালো। একান্তই খেতে চাইলে ইনসুলিন নিয়ে অল্প পরিমাণে পান্তাভাত খেতে পারেন। পান্তা ছাড়াও বৈশাখে শর্করা জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে চিঁড়া, খই, মুড়ি ও খিচুড়ি।

♦ বৈশাখে অন্যতম প্রোটিন ঐতিহ্য হিসেবে অনেকে ইলিশ মাছ খান। ইলিশ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে বিদ্যমান প্রোটিন ও ফ্যাট শরীরের নানা কাজে আসে। তবে এ সময় ইলিশ মাছ না খেয়ে অন্যান্য মাছও খাওয়া যেতে পারে। তবে ডুবো তেলে কড়া ভাজা মাছ স্বাস্থ্যের উপকারের চেয়ে অপকার বেশি করে। ভাজা মাছের পরিবর্তে সরিষা মাছ, মাছের ঝোল, মাছ ভর্তা, মাছের চচ্চড়ি খাওয়া যেতে পারে। মাছ ছাড়াও বৈশাখের অন্যতম প্রোটিন জাতীয় খাবার হলো ডাল। আম ডাল, সজনে ডাল, ডাল চচ্চড়ি, ডাল ভুনা, পাতলা ডাল বৈশাখের অন্যতম খাবার। মাছ ছাড়াও দুধ ও দই জাতীয় খাবারে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ছাড়া আরও আছে ভিটামিন এবং মিনারেল।

♦ দেশীয় রান্না বৈশাখের ঐতিহ্য, তাই সঠিক তেল ব্যবহার করে রান্না করলে চর্বি গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বৈশাখে চর্বিযুক্ত খাবার কমই খাওয়া হয়। বৈশাখের দিনগুলোতে অবশ্যই  জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলুন।

♦ বৈশাখে কাঁচা আমের জুস, মাঠা, লাচ্ছি, বাঙ্গির শরবত, তরমুজের জুস খেতে পারেন। এই জাতীয় তরল দেহের তরলের চাহিদা মেটায়। দইয়ের লাচ্ছি বা মাঠা তারল্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।

♦ মিষ্টি খাবার থেকে যে কোনো উৎসবের ঐতিহ্য। বৈশাখেও নানারকম মিষ্টি খাবার খাওয়া হয়। সেমাই, গুড়ের পায়েস, দই, ছানা, মণ্ডা, রসগোল্লা ইত্যাদি বৈশাখের মিষ্টান্ন। বৈশাখের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর মিষ্টান্ন হলো মৌসুমি রসালো ফল তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস ইত্যাদি। ডেজার্ট হিসেবে ফল বেশ স্বাস্থ্যসম্মত।

♦ অনেক খাবার আছে, যা বৈশাখে উপকারের চেয়ে অপকার করে বেশি। তাই এরকম খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। যেমন বাইরের খোলা খাবার, বাইরের জুস, কোমল পানীয়, কড়া চা ও কফি, আইসক্রিম ইত্যাদি। বাইরের জুসে যে পানি মেশানো হয়, তা থেকে অনেক পানিবাহিত রোগের আশঙ্কা থাকে। বাইরের আচার, চাটনি, মুরালি ইত্যাদিতে অনেক রঙের ব্যবহার হয়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

সর্বশেষ খবর