শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিশুর দাঁতের সুস্থতায়

শিশুর দাঁতের সুস্থতায়

ডা. তামিজুল আহসান রতন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ কনসালটেন্ট, ওরাল অ্যান্ড ডেন্টাল সার্জন।

অল্প বয়সে ছোট্ট সোনামণির দাঁত যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে বাবা-মায়ের দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। ছোট্ট শিশু কান্নাকাটি করে, ঘুমাতে পারে না। বেশির ভাগ সোনামণির রেজাল্ট খারাপ হয় শুধু পেটব্যথা অথবা দাঁত ব্যথার জন্য। তাই নিয়মিত দন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

 

কেন এবং কখন যাবেন?

শিশুর ৪ মাস বয়স থেকে যখন দাঁত উঠতে থাকে তখন থেকে দন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। কারণ দাঁত ওঠামাত্রই কোনো কোনো শিশুর দাঁত নষ্ট হয়ে যায়। ছোট্ট বাচ্চাদের দুধের বোতল দেবেন না, কারণ ফিডার খাওয়ালেই দাঁত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি দুধ মুখে লেগে থাকলেই এসিড ফরমেন্টেশন হয়। এসিড ফরমেন্টেশন হলেই দাঁত গলে যায়। অনেকেই মনে করেন ছোট্ট শিশুদের দুধের দাঁত পড়ে যাবে তাতে লাভ কী হবে? মোটেও না, আপনার শিশুর স্বাস্থ্য তো ঠিক রাখতে হবে! মনে রাখবেন, শিশুর যদি স্বাস্থ্য ঠিক না থাকে তাহলে সে খাওয়া-দাওয়া করবে কীভাবে! ফলে শিশুর দেখা দিতে পারে নানা রকমের রোগবালাই। তাই শিশুকে ৬ মাস অন্তর অন্তর দন্ত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। দন্ত চিকিৎসকই আপনাকে বুঝিয়ে দেবেন আপনার শিশুর দাঁতে কোনো প্রকারের ক্যারিজ হয়েছে কি না কিংবা মুখে কোনো ঘা হয়েছে কি না। এগুলো শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। তাই প্রত্যেক বাবা-মায়ের দায়িত্ব শিশুর জন্মের চার মাস পর থেকেই দন্ত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর