শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

খুশকি দূর করার দাওয়াই

খুশকি দূর করার দাওয়াই

♦ মডেল : মায়া মিতু ♦ ছবি : ফ্রাইডে

খুশকি! খুবই কমন সমস্যা। আর তাতেই লোকজনের কাছে যেতে অস্বস্তি। এই কমন সমস্যায় রইল কিছু সহজ ঘরোয়া সমাধান।

 

খুশকির সমস্যা নারী-পুরুষ সবারই হয়। খুশকি নিয়ে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী বা যুবক-যুবতী; সবাই দারুণ চিন্তিত থাকেন। আর অনেকের কাছে চুলের খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই অসাধ্য! কিন্তু ঘরোয়া কিছু তদবিরে বেয়াড়া খুশকির লাগাম টেনে ধরতে পারেন সহজেই।

 

খুশকি কী?

আমাদের ত্বকে প্রতিদিনই নতুন কোষ তৈরি হয়। ঠিক একইভাবে মাথার স্ক্যাল্পে (ত্বকে) প্রতিদিনই অনবরত নতুন কোষ তৈরি হয়। আর পুরনো কোষ ঝড়ে যায়।  অনেকের ক্ষেত্রে কোষ ঝড়ে পড়ার আগে নতুন তৈরি হয়। আর তা এত দ্রুত ঘটে যে তা (পুরনো কোষ) সাদা গুঁড়োর মতো মাথার স্ক্যাল্পে থেকে যায়। এবং আস্তে আস্তে ঝড়ে পড়ে। আর এসব নির্জীব সাদা গুঁড়োগুলোকেই খুশকি বলে।

 

খুশকি কেন হয়?

সুস্থ এবং সুন্দর চুলের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত পরিচর্চা। যার একটি নিয়মিত ব্রাশ (আঁচড়ানো) করা। ঠিকঠাক ব্রাশ না করার ফলে মাথার স্ক্যাল্পের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। আর তাতে নতুন কোষ তৈরিতে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে মাথার স্ক্যাল্পে মৃত কোষ জমতে থাকে। নানা কারণে মাথায় খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া, বারবার তাপমাত্রার পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে খুশকি হয়। আবার অতিরিক্ত শ্যাম্পু করার কারণেও এমনটা হতে পারে। তাই বলে শ্যাম্পু কম করবেন! তাতেও মাথার স্ক্যাল্পের ক্ষতি। কেননা, এতে স্ক্যাল্প নোংরা, তেল চিটচিটে, মৃত কোষ জমতে থাকে। ফলে অপরিষ্কার স্ক্যাল্পে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। তাই নিয়ম মেনে শ্যাম্পু করা উচিত। এ ছাড়া খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি, জিঙ্ক এবং নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টিগুণের অভাব থাকলেও খুশকির সমস্যা হতে পারে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা (স্কিন ডিজিজ) থেকেও মাথার স্ক্যাল্পে খুশকি হতে পারে।

 

কী সমস্যা হতে পারে?

সাধারণত মাথার স্ক্যাল্প যদি কোনো কারণে খুব শুষ্ক হয়ে যায়, অথবা যাদের স্ক্যাল্প এমনিতেই খুব শুষ্ক, তাদের ক্ষেত্রে খুশকির সমস্যা বেশি হয়। খুশকি হলে মাথার স্ক্যাল্পে খুব চুলকানি হয়। অনেকের স্ক্যাল্প এ সময় লালচে হয়ে যায়। খুব বেশি খুশকি হলে কপালের ওপর দিকে বা কপালজুড়ে র‌্যাশও দেখা যায়।

 

ঘরোয়া সমাধান

যাদের সমস্যা কম তারা শ্যাম্পু বদলে নিন।  এতে অনেক সময় পুরোপুরি খুশকি দূর হয়। আর যাদের সমস্যা খুব বেশি তারা শ্যাম্পু বদলের সঙ্গে গ্রহণ করুন বাড়তি পরিচর্যা। সপ্তাহে তিন-চার দিন শ্যাম্পু করুন। দক্ষ কসমোলজিস্টের পরামর্শে অ্যান্টি ড্যানড্রফ ট্রিটমেন্ট নিন। এ ছাড়া প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

►   নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহারে খুশকি কমে। জলপাই তেল প্রাকৃতিকভাবেই ভালো ময়েশ্চারাইজার এবং ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে বা ত্বকের আর্দ্রতা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে।

►  দুই টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে পুরো মাথায় চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে মাখুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার এক টেবিল-চামচ লেবুর রস নিয়ে এক কাপ পানিতে মেশান। লেবুর রস মেশানো পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

►  রসুন থেঁতলিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

► এক বাটি পানিতে ২ চা চামচ মেথি মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে সেটা ব্লেন্ডারে পেস্ট করে স্কাল্পে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিন।

►  অ্যালোভেরা জেল মাথার খুশকির সমস্যা দূর করবে। চুল ধোয়ার ১৫ মিনিট আগে স্ক্যাল্পে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর