শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

গরমে ভালো থাকুন

বাইরে প্রবল গরম। আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হিট স্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্প এবং হিট এগজশনের মতো সমস্যা। রইল পরামর্শ...

গরমে ভালো থাকুন

গরমে বাইরে বেরোলে মূলত তিনটি সমস্যা হতে পারে; হিট ক্র্যাম্প, হিট এগজশন ও হিট স্ট্রোক। প্রচুর ঘাম হলে শরীর থেকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম বেরিয়ে যায়। ফলে  মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হয়। গরমে অনেকেরই পেটব্যথা হয়। এটিও একধরনের মাংসপেশির ব্যথা। হাত-পায়ের পেশিতে টান ও পেটে স্প্যাজম, মূলত এর উপসর্গ। তাই এ সময় প্রচুর পমিরাণে পানি পান জরুরি। গ্লুকোজ এবং স্যালাইনও খেতে পারেন। প্রচুর পমিরাণ ঘাম হলে শরীর থেকে লবণ আর পানি বেরিয়ে যায়। ফলে মাথাব্যথা, বমিভাব বা বমি হতে পারে। অনেকের রক্তচাপ কমে যেতে পারে, পালস, রেট বেড়ে যেতে পারে। এগুলো হঠাৎ হতে পারে, আবার কিছুক্ষণ পরেও হতে পারে।

 

শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও (মোটামুটি ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপর) যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘাম না হয়, তাহলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। এক্ষেত্রে শরীর থেকে তাপ বেরোতে পারে না। অনভ্যস্ত কেউ যদি বেশি গরমে বেরোন বা পরিশ্রম করেন, তাহলে এরকম হতে পারে।  ধরুন আপনি কখনো রোদে খেলেননি বা হাঁটাহাঁটি করেননি। কিন্তু আপনি যদি হঠাৎ সেটাই একদিন করেন তাহলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। পরিবেশে আর্দ্রতা যত বেশি হয়, হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে।

 

হিট স্ট্রোক থেকে খুব ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত গরমে হার্ট ফেইল, অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি এমনকি লিভার নেক্রোসিস (লিভারের ধরনের টক্সিক ইনজুরি) হতে পারে। সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়েও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। সাধারণভাবে একজন অনভ্যস্ত মানুষের এক ঘণ্টায় এক লিটার ঘাম হলে ৫৮০ কিলো ক্যালরি তাপ বেরোয়। আর যারা রোদে কাজ করে অভ্যস্ত, তাদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় দুই থেকে তিন লিটার ঘাম হয় ও শরীর থেকে ১৭৫০ কিলো ক্যালরি তাপ উৎপাদন হয়। ফলে এদের শরীর ঠান্ডা হয় দ্রুত। শরীর যদি সঠিকভাবে তাপ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তখনই হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা দেখা দেয়।

 

উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা জায়গায় চলে যান। চোখে-মুখে পানি দিন। সম্ভব হলে জামাকাপড় খুলে ফেলুন। পাখা বা কাগজ বা হাত দিয়েই হাওয়া দিন। আর প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন খান। হিট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যাওয়া জরুরি। একই সঙ্গে ঠান্ডা পানি আন্ডারআর্মে দিলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমবে। সুতি বা লিনেনের হালকা পোশাক পরবেন। শরবত বা গ্লুকোজ খেতে হবে বেশি করে। ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন। কোনোরকম অস্বস্তিবোধ করলে দ্রুত শেডের তলায় চলে যান। যারা সকালে হাঁটাহাঁটি করেন, তারা হয় খুব ভোরে করুন। ইভনিং আর মর্নিং ওয়াকের মধ্যে কোনো তফাত নেই। আর খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। হালকা খাবার খেয়ে বেরোনোই ভালো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর