শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

এক্সেসরিজ ম্যাজিক

এক্সেসরিজ ম্যাজিক

♦ মডেল : নীলা শু : স্টেপ ফুটওয়্যার ♦ মেকওভার : সোনিয়া খান ♦ ছবি : রনি বাউল

কেবল পোশাক-আশাকেই স্মার্টনেস ফুটে ওঠে ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। পোশাক জমকালো হোক কিংবা সাদামাটা, এর সঙ্গে চাই উপযুক্ত বা মানানসই এক্সেসরিজও। এক্সেসরিজ যদি মানানসই না হয় তাহলে পুরো আয়োজনটাই ম্লান হয়ে যায়। তাই ফ্যাশনে স্মার্ট এক্সেসরিজের ভূমিকাও অনেক লক্ষণীয়। ফ্যাশনের সেসব দিক নিয়েই আজকের এই ফিচার।
স্মার্টনেস প্রকাশ পায় পোশাক-আশাক আর আচরণে। অনেক সময় এই জমকালো পোশাকেও অনেককে বেঢপ দেখায়। পেছনের কারণটি হলো পোশাকের সঙ্গে বেমানান এক্সেসরিজ। কেবল নিত্য প্রয়োজনেই নয়, ফ্যাশনিয়েস্তাদের স্মার্টনেসের ক্ষেত্রে মানানসই এক্সেসরিজই হলো মূল ভরসা।

 

আলমারি ভর্তি প্রচুর জামা-কাপড়। কিন্তু স্মার্টনেসে পোাশাক-আশাকই শেষ কথা নয়, এটি ফ্যাশনিয়েস্তারা খুব ভালো করেই বোঝে। কারণ, অনেক সময় জমকালো পোশাকেও অনেককে বেঢপ দেখায়। এর পেছনে রয়েছে মানানসই এক্সেসরিজের অভাব। আজকাল তরুণীরা বেশ সচেতন। তরুণীরা ফ্যাশন এক্সেসরিজের তালিকায় রাখেন দুল, আংটি, ব্রেসলেট, নেকপিস, ব্যাগ, জুতো এমনকি স্কার্ফও। আর তাতেই ফ্যাশনের ষোলকলা পূর্ণ হবে, ধারণাটি ভুল। আসলে ফ্যাশনে নির্দিষ্ট কোনো গন্ডি নেই। নেই কোনো বাধাবিপত্তি। তবে মানানসই ফ্যাশন না হলে পুরো আয়োজনটাই বেঢপ লাগে। কেননা, উপযুক্ত পোশাকের সঙ্গে উপযুক্ত এক্সেসরিজ না হলে ফ্যাশনের আয়োজনটাই বৃথা। তাই তো নতুন আধুনিক ফ্যাশনে ট্রেন্ডি সাজ পেতে ফ্যাশনে যোগ হয়েছে জুয়েলারি এবং বাহারি রঙের ব্যাগ।

 

ফ্যাশনে স্মার্ট অর্নামেন্টস

মেয়েদের ফ্যাশনের ষোলকলা পূর্ণ করতে পোশাকের সঙ্গে চাই মানানসই গহনা এবং তা হওয়া চাই ম্যাচিং কালচারাল। আজকাল স্বর্ণের চেয়ে রুপার গহনার চলন। উঠতি বয়সীরা অবশ্য নিত্যদিনের ব্যবহারে ইমিটিশনের গহনার প্রতিই আগ্রহ বেশি। ভারি গহনার চেয়ে হালকা হওয়ায় সবাই বেছে নিচ্ছে এসব গহনা। তবে পোশাক এবং ব্যক্তিত্ব ও চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে পেয়ে যাবেন গহনা। পাশাপাশি হাল ফ্যাশনে যুক্ত হয়েছে মেটালিক ও বিডসের গহনা। কাঠ, বাঁশ, পুঁতি, সুতা, টারসেলের তৈরি গহনাও বেছে নিচ্ছে অনেকে। কেননা, এসব গহনা যে কোনো পোশাকের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়।

 

রোদ চশমার সুরক্ষা

এক্সেসরিজ ম্যাজিকে সানগ্লাস লা জবাব। তাই আজকালের ফ্যাশনিয়েস্তাদের ক্ষেত্রে প্রথমেই প্রাধান্য পায় এটি। সানগ্লাস সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। একইসঙ্গে ধুলোবালি থেকেও সুরক্ষিত রাখে। তবে সানগ্ল­াস কেনার আগে বুঝেশুনে কেনা উচিত। এমন সানগ্লাস কিনুন যা ৯৯% থেকে ১০০% সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারে।

 

থাকুক ফ্যাশনেবল ব্যাগও

বর্তমানে ফ্যাশনের অন্যতম সঙ্গী ব্যাগ। পোশাকের সঙ্গে মানানসই ও ম্যাচিং ব্যাগ না হলে কেমন যেন পূর্ণতা পায় না। কয়েক বছর আগেও ব্যাগ ছিল কেবল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার থলে। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে এখন এটি হয়ে উঠেছে ফ্যাশন এক্সেসরিজ। বাজারে এখন একটু ঘুরলেই চোখে পড়বে বাহারি নকশার সব ব্যাগ। আছে বিভিন্ন ডিজাইন, কালার ও সাইজের ব্যাগ ও রকমফের স্টাইলিশ ব্যাগ। এর মধ্যে রয়েছে লেদার, রেক্সিন, কাপড় ও প্ল­াস্টিকের ব্যাগ। লেদার এবং কাপড়ের মিশেলে তৈরি হ্যান্ডলুমের ব্যাগের দাহিদাও আকাশচুম্বী। আরও আছে পার্টি কিংবা ক্যাজুয়াল ব্যবহার্যের সব ধরনের পার্স। আর ফ্যাশনে সব সময় এগিয়ে ক্লাচ ব্যাগ। ট্রেন্ডে যুক্ত হয়েছে বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য বটুয়া ঘরানার ব্যাগও।

 

ট্রেন্ডে আছে হাতঘড়িও

ঘড়ির সঙ্গে ফ্যাশনের সম্পর্ক নিবিড়। আর ফ্যাশন এবং প্রয়োজন; দুই মিলিয়ে মানানসই হাতঘড়ির দিকেই আগ্রহ আজকালের তরুণীদের। বছর দুয়েক আগে মেয়েদের ঘড়ির বেল্ট বেশ চিকন ছিল। এখন যুগের সঙ্গে মিলিয়ে মেয়েদের ঘড়িতে এসেছে পরিবর্তন। মেয়েরাও এখন মোটা ও চওড়া বেল্টের ঘড়ি পরছে। আর হাল ফ্যাশনে রাউন্ডের চেয়ে বেশি স্কয়ার ডায়াল এবং কালারের ক্ষেত্রে গোল্ডেনের চেয়ে ব্ল্যাক, সিলভার এবং সিলভার ও গোল্ডেন মিক্স বেশি চলছে।

 

কোমরবন্ধনী বেল্ট

বেল্ট একসময় ব্যবহৃত হতো শুধু প্রয়োজনে। এখন এটি ফ্যাশনের  অনুষঙ্গ। জামায় যুক্ত করা তো বটেই, অনেকেই গয়না হিসেবে বেছে নিচ্ছেন বেল্ট। বাজারে চামড়ার বেল্ট থেকে শুরু করে, পাটের, কাপড়ের এমনকি ধাতব বেল্টে ‘রতœ’ খোঁচানো বেল্টেও মিলছে অহরহ। নতুনত্ব হিসেবে যোগ হয়েছে পুঁতি, দড়ি বা কাপড়ের তৈরি বেল্ট। তবে চোখ জুড়িয়ে যায় পাথর বসানো চেইন, চামড়া, প্ল­াস্টিকের তৈরি বেল্টগুলো দেখলে।

 

ফ্যাশনে পাদুকা

একসময় স্যান্ডেল মানেই ছিল সাধাসিধা ধরনের। এখন সেখানে যুক্ত হয়েছে ফ্যাশন এবং আভিজাত্য। বর্তমানে স্লিপারে মানুষ নিজের ফ্যাশন সত্তাকে আরও বেশি করে ফুটিয়ে তুলতে পারে। আর এখন যেহেতু বর্ষাকাল চলছে, তাই খুব বেশি ভালো বা দামি জুতো পরাটা এখন বোকামি। কারণ হুটহাট করে কখন বৃষ্টিতে নষ্ট হবে সাধের জুতো। তাই তো তরুণীরা এমন জুতো বেছে নিচ্ছে যা পরলে পা ভিজে গেলেও তা শুকিয়ে নেওয়া যায়। পথে চলতে পায়ে কাদাপানি লাগলেও সহজেই পরিষ্কার করে নেওয়া যায়। এ ধরনের স্যান্ডেল দিয়ে বাংলাদেশে আলোচিত হয়েছে স্টেপ ফুটওয়্যার। প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার জাহিদুল জানান, ‘যেহেতু এটি কোরবানির ঈদ ফলে সকালের দিকে সবারই পশু জবাই নিয়ে সামান্য হুড়োহুড়ি থাকে। সঙ্গে আরামদায়ক জুতো না হলে চলে না। কেননা করতে হয় নানা ধরনের কাজ। ৫০০ থেকে শুরু করে ২০০০ এর মধ্যেই পেয়ে যেতে পারবেন যুৎসই স্যান্ডেল।’

 

লিখেছেন- নাদিয়া নাজনিন

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর