ভঙ্গুর নখের সমস্যা
নখের মূল উপাদান কেরাটিন। এই কেরাটিন সঠিকভাবে তৈরি না হলে নখ ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এ কারণে অনেকের নখ ভাঙার সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে আধকাপ নারিকেল তেল সামান্য গরম করে তাতে নখ ডুবিয়ে রাখতে পারেন। অথবা এতে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণে নখ ১০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ুন। এ ছাড়া নখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে জন্য ভিটামিন-ই তেল সবচেয়ে ভালো। বাজারে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল কিনতে পাওয়া যায়। এই ক্যাপসুল ভেঙে নখে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। ঘরোয়া পদ্ধতিতে নখের সমস্যা সমাধানে সমপরিমাণে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এবং পানি মিশিয়ে কিছুক্ষণ নখ ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটা অরেঞ্জ স্টিক দিয়ে নখের কিউটিকল পেছনের দিকে ঠেলুন। কিছুদিন এভাবে করলে নখ শক্ত হবে।
নখের হলদেভাব কাটাতে
এটি নখের স্বাভাবিক সমস্যা। নখে দীর্ঘদিন নেলপলিশ পড়ে থাকলে এবং সঠিক যতœ না নিলে নখে হলদেভাব দেখা দেয়। তাই নখে দীর্ঘদিন নেলপলিশ পরা বন্ধ করুন। নেলপলিশ পড়লে অবশ্যই বেস কোট লাগিয়ে নেবেন। আর প্রতিবার নেলপলিশ তুলতে নেলপলিশ রিমুভার ব্যবহার করুন। নখের হলদেভাব দূর করতে লেবুর রসের থেকে কার্যকরী আর কিছু নেই। নখে পাতিলেবুর টুকরো ঘষে মিনিট ১৫ রেখে ধুয়ে ফেলুন। বাজারে আজকাল হোয়াটনিং টুথপেস্ট পাওয়া যায়। এটি ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য বেকিং সোডা সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নখের ইনফেকশন কমাতে
সাধারণত পায়ের নখে নানা ইনফেকশন দেখা দেয়। অনেক সময় হাতের নখেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলত পা ঘেমে নখে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়। বর্ষাকালে রাস্তার নোংরা পানি পায়ে লেগেও ইনফেকশন হতে পারে। সামান্য টি-ট্রি অয়েলের সঙ্গে অল্প অলিভ অয়েল মিশিয়ে তুলোয় করে ইনফেকশনের জায়গায় লাগাতে পারেন। আর এখানেও বেকিং সোডা ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন, বেকিং সোডা ফাঙ্গাসকে নষ্ট করে না। ফাঙ্গাসের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়। একটা বড় পাত্রে পানি নিয়ে তাতে এক কাপ ভিনিগার এবং ৪-৫ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নখ ডুবিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর পা তুলে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক