শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বার্নআউট এবং কিছু কথা

দিনের পর দিন কাজের চাপে ক্লান্ত। কাজ করার ইচ্ছাটাই যেন ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে। এটাই মূলত বার্নআউটের লক্ষণ। রইল পরামর্শ...

কাজের জায়গায় প্রত্যাশা, মিটিং, প্রেজেন্টেশন, ডেটলাইনÑ সব মিলিয়ে আপনি তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেতে বসেছেন বলেই মনে হচ্ছে। আসলে, নতুন অফিস জয়েন করার পর যতটা ফুরফুরে মনমেজাজ থাকে, বেশ কিছুদিন পর অনেকেই আর সেভাবে পুরো ব্যাপারটা উপভোগ করতে পারেন না। অনেক সময় বার্নআউটের কারণ জব স্যাটিসফেকশনের অভাব নয়। কিন্তু একটানা কাজ করতে করতে মানুষের সাময়িক বিরতি নেওয়াটাই ব্যস্ততার ফাঁকে সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর তখনই মনে হয় আমি বুঝি ফুরিয়ে যাচ্ছি বা আমার আর কিছু দেওয়ার নেই-  জাতীয় ধারণা।

 

কীভাবে বুঝবেন

ক্রমাগত স্ট্রেস সামলাতে গিয়ে যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন আর সেই ক্লান্তি ঘুমালেও না কাটে, তাহলে সেটি হতে পারে বার্নআউটের লক্ষণ। এর ফলে আপনি ইমোশনালি ড্রেনড হয়ে পড়েন। কাজের ফিরিস্তির বহর দেখে রাতে ঘুম না আসা, প্যানিক অ্যাটাক, ভুলে যাওয়া, কাজে মনোসংযোগ না থাকা ইত্যাদিও এর লক্ষণ। মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। অফিস যাওয়ার ইচ্ছাটাই হারিয়ে যায়। নিজেকে সব রকম কাজ থেকে সরিয়ে নিতে ইচ্ছা করে। বার্নআউটের ফলে প্রোক্টিভিটি কমে যেতে বাধ্য। সারা দিন-রাত কাজ করছেন। কিন্তু কাজ যেন কিছুতেই কমছে না। আসলে কাজে মনোসংযোগ করতে না করতে পারা আর কাজটাকে উপভোগ না করতে পারার ফলে এমনটা হচ্ছে।

 

কী করবেন

►   অফিসের কাজ অফিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন। বাড়িতে রাতজেগে অফিসের কাজ করবেন না। যদি মনে হয় সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে পারছেন না তবে অফিসে বেশি সময় থেকে কাজ শেষ করুন। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাইরে ঘুরতে যান। এ সময় খুব জরুরি ফোন ছাড়া কোনো কাজের ফোন ধরবেন না। ক’দিনের মধ্যে নতুন এনার্জি সঞ্চয় করে আসুন। ফিরে এসে কাজ করতে উৎসাহ পাবেন।

►    কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট ব্রেক নিন। মাঝেমধ্যে হেঁটে আসুন। এক দুবার কফি ব্রেক নিন। সেই ফাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গে কাজের বাইরে অন্য আলোচনাও করতে পারেন।

►    অফিসের বাইরে যতটা পারা যায়, নিজের সঙ্গে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সময় কাটান। নিজের শখ- আহ্লাদকে জলহাওয়া দিলে এমনিতেই মন ভালো থাকবে।

 

লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর