শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কত রকম মাস্ক!

সৌন্দর্যচর্চায় বাজারের প্রসাধনীই শেষ ভরসা নয়। কেননা, সবসময় ত্বক উপযোগী সঠিক পণ্য মেলে না। তাই ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়াই ভালো।

কত রকম মাস্ক!

ছবি : শোভন মেকওভার

ঋতু বদলে ত্বকও বদলায়। ধীরে ধীরে গরমের  তীব্রতা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। এক পসলা বৃষ্টি জনজীবনে নিয়ে আসছে ঠান্ডার পরশ। এ যেন পুজোর আগে শীতের আগমনী বার্তা। যদিও শীত আসতে এখনো ঢের দেরি। কিন্তু এমন আবহাওয়ায় আর্দ্রতার অভাবে ত্বক হারাচ্ছে জৌলুসতা। তাই প্রাণহীন ত্বকের বাড়তি যত্নে ফেসিয়াল মাস্ক অত্যন্ত জরুরি। তবে ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন বুঝে উপযুক্ত মাস্কটি ব্যবহার করা উচিত। পাঠকদের জন্য রইল কয়েকটি উপকারী মাস্ক।

 

টমেটো ও লেবুর মাস্ক

টমেটো ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ভালোভাবে থেঁতলে নিন, এর সঙ্গে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখ ও গলায় মেখে ২০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাস্ক ত্বকের রোদে পোড়াভাব দূর করে এবং ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

 

শসা ও লেবুর মাস্ক

এক চামচ শসার রস ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি মুখ ও গলায় লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মাস্ক পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মাস্কটি ত্বকের ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করবে।

 

মধু ও লেবুর মাস্ক

এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। ব্যবহারের আগে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে মিশ্রণটি পুরো মুখ ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা শেষে মাস্কটি শুকিয়ে এলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রাণহীন ত্বকের লাবণ্যতা ফিরিয়ে আনতে মাস্কটি অত্যন্ত উপকারী।

 

কলা ও দইয়ের মাস্ক

একটি পাকা কলা চটকে তার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ টক দই ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। খেয়াল রাখবেন, মিশ্রণটি যেন ভালোভাবে মিশে যায়। এবার মুখ এবং গলায় পুরু করে মিশ্রণটি লাগান। ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কোমল ত্বক পেতে মাস্কটি সপ্তাহে অন্তত দুবার ব্যবহার করতে পারেন।

 

কাঠবাদামের মাস্ক

চার-পাঁচটি কাঠবাদাম নিয়ে সারা রাত দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কাঠ বাদামের খোসা ছাড়িয়ে দুধ ও বাদামের মাস্ক তৈরি করে নিন। এবার রাতে ঘুমানোর আগে মাস্কটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মাস্কটি নাইট ক্রিম হিসেবে দারুণ কাজ করবে। যে কোনো ঋতুতেই শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

 

হলুদের মাস্ক

কাঁচা হলুদ ত্বকের প্রাকৃতিক ভেষজ আয়ুর্বেদ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তিন টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের পেস্ট মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে মেখে ২০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাস্কটি ত্বকের যে কোনো সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

 

অলিভ অয়েল ও ডিমের কুসুমের মাস্ক

দুটি ডিমের কুসুম ও দুই ফোঁটা অলিভ একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। খেয়াল রাখবেন, ডিমের কুসুমটি যেন ঠিকমতো ফেটানো হয়। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে মাত্র দুই দিন ব্যবহার করেই দেখুন। রুক্ষতা সারিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মাস্কটি দারুণ।

 

গুঁড়া দুধের মাস্ক

এক চামচ গুঁড়া দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এরপর মুখ ও গলা ভালোভাবে পরিষ্কার করে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাস্কটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এবং ত্বক হবে কোমল।

 

ওটমিল মাস্ক

চার টেবিল চামচ ওটমিলের সঙ্গে চারটি কাঠবাদাম গুঁড়ো করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সঙ্গে সামান্য তরল দুধ ও এক টেবিল চামচ মধু দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মাস্কটি মুখে দিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে আলতো করে ত্বক ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের ময়লা, মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ত্বকে বলিরেখার ছাপ দূর করবে।

 

লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর