রুক্ষ ও পরিণত ত্বক
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা, ভাঁজ পড়তে থাকে। ত্বক অনুজ্জ্বল লাগে, ত্বক শুষ্ক, এ ধরনের ত্বকে সুন্দর করে মেকআপ করতে পারেন। ভারী ফাউন্ডেশনে ত্বকের বলিরেখা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই লিকুইড বা পাউডার ফাউন্ডেশন লাগালে ত্বকের অনুজ্জ্বল ভাব ঢাকা পড়ে। আলাদা করে কম্প্যাক্ট পাউডার লাগানোর দরকার হয় না। চোখে সব সময় কালোর বদলে ছাই, বাদামি, হালকা বেগুনি, আইলাইনার ব্যবহার করতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বক
প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করুন। তারপর অ্যাস্টিজেন্ট লোশন তুলোতে নিয়ে সারা মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর কমপ্যাক্ট পাউডার লাগান। গরমের দিনে দিনের বেলা চাইলে ওয়াটার বেজড ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন। ত্বকে লাগানোর আগে এক ফোঁটা পানি মিশিয়ে নিন। না হলে কেক ফাউন্ডেশন বা প্যানস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। ফাউন্ডেশন লাগানোর পর পাউডার লাগান। মুখে ফাউন্ডেশন বসে যাবে। চোখে আইলাইনার ও আইশ্যাডো ওয়াটার প্রুফ ব্যবহার করুন।
মেকআপ টিপস
► নিজের ত্বকের স্বাভাবিক রং বদলানোর জন্য ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।
► ফ্রেশ ভাব আনার জন্য মেকআপের ওপর টোনার বা পানি স্প্রে করবেন না।
► ঋতু অনুযায়ী মেকআপ করুন।
► ঘন ঘন হাত দিয়ে মেকআপ স্পর্শ করবেন না।
► ফাউন্ডেশন ও ব্লাশন ভালো করে ব্লেন্ড করুন।
► ত্বকের রং, চোখের রং ও চুলের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লিপস্টিক ব্যবহার করুন। সরু ঠোঁটে গাঢ় রং, পুরু ঠোঁটে হালকা রঙের লিপস্টিক লাগান। লিপস্টিকের কাছাকাছি একই রঙের লিপলাইনার ব্যবহার করুন। লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে তারপর লিপস্টিক লাগাতে হয়। লিপস্টিকের বাইরে দিয়ে যেন লিপলাইনার দেখা না যায়। লিপস্টিক বেশিক্ষণ ঠোঁটে রাখতে চাইলে লিপস্টিকের ওপর দিয়ে একবার পাউডার লাগান। তার ওপর আবার লিপস্টিক লাগান।
কীভাবে ফাউন্ডেশন লাগাবেন
পুরো মুখে ফোঁটা ফোঁটা করে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। এবার ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ফাউন্ডেশন ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। মুখের সঙ্গে ঘাড়েও ফাউন্ডেশন লাগাতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন, ব্লেন্ড করার সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না। একটু সময় নিয়ে যতœ নিয়ে ব্লেন্ড করতে হয়। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত প্রকৃতির হয় তাহলে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে নিন। এতে ত্বকে ভালো করে ফাউন্ডেশন বসবে। ওয়াটার বেজড ফাউন্ডেশনও ব্যবহার করতে পারেন। অপরদিকে ত্বক শুষ্ক প্রকৃতির হলে ক্রিমযুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করাই ভালো। ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে ম্যাচ করে লাগাবেন, যেন ন্যাচারাল লুক থাকে।
লিখেছেন : শারমিন সেলিম তুলি (রূপ বিশেষজ্ঞ)