বদলেছে সৌন্দর্যের মাপকাঠি। কেবল নামি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহারেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় না। প্রয়োজন সঠিক জীবনযাপনও। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে কিছু সময় নিজের জন্য বের করে নিয়ে সু-অভ্যাস গড়ে তুলুন। কেননা, নিজেকে যদি ভালো দেখতে লাগে, তা হলে আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে আগের চেয়ে কয়েকগুণ।
► সারারাত যে বালিশে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন, সেই বালিশ ও বালিশের কভার যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেই দায়িত্বটাও যে নিতে হবে আপনাকেই। সারারাত আপনার মুখ বালিশের সংস্পর্শে থাকে। বালিশের কভার অপরিষ্কার হলে ত্বকের শত কেয়ার করার পরেও ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই বালিশের কভার ধুয়ে পরিচ্ছন্ন রাখুন সবসময়।
► প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে আমরা সবাই কম-বেশি মোবাইলে কথা বলে থাকি। আর এই কারণেই ত্বকে এত ব্রণ এবং ইনফেকশন। ভাবছেন, মোবাইলের সঙ্গে এর সম্পর্ক কী? আপনার মোবাইল কিন্তু ত্বকের অনেকটা অংশের সংস্পর্শে থাকছে দীর্ঘ সময়। ফলে ফোনে কোনো জীবাণু থাকলে, তা ত্বকের ক্ষতি করছে। তাই নিজের মোবাইল পরিষ্কার রাখুন।
► ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পানি পান করুন। পানি না খেলে নিখুঁত ত্বক পাওয়া সম্ভব নয়। আপনি কতটা পানি পান করছেন সেটা আপনার ত্বক দেখলে বোঝা যায়। চোখের তলায় কালো দাগ হয় কেন জানেন? কারণ আপনার কম পানি পান করা। পানি কম পান করলে চোখের তলায় পানি সংবহন হতে পারে না। ফলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। যাতে ত্বকে কোনো রকম খুঁত না থাকে, তাই প্রচুর পানি পান করুন।
► বিউটি স্লিপকে মিথ মনে করেন আপনি? আসলে সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। তাছাড়া নিজের ত্বককে সুস্থ রাখার জন্যও ঘুম দরকার। একরাত না ঘুমালে তার প্রতিফলন আয়নায় দেখতে পাবেন। তাই দিনে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
► রোজ ব্যায়াম করলে শরীরে সংবহন ভালো হয়। ফলে ত্বকও পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়। ফলত পোস্ট ওয়ার্ক আউট গ্লো মেলে। খুব বেশি ব্যায়াম না করতে পারলেও যদি নিয়মিত হাঁটেন তাতেও অনেকটা ঘাম ঝরে। পরিশ্রম হওয়ার ফলে রাতে ভালো ঘুম হয়। তাছাড়া এতে হৃদযন্ত্রে পাম্পিং ক্ষমতা বাড়ে। ফলে আপনার ত্বক হয়ে ওঠে ঝলমলে।
লেখা- ফ্রাইডে ডেস্ক