বাড়ির বাথরুম। আধুনিক এবং গোছানো বাথরুমই সময়ের ট্রেন্ড। এই বাথরুমকেই গড়ে তুলতে পারেন পারসোনাল স্পা। এ নিয়ে বাজেট গুণতে হবে না। চাইলেই নিজের বাথরুমটিকে স্পা উপযোগী করে তুলতে পারেন। সে বাথরুম বড় পরিসরে হোক বা ছোট পরিসরে।
রং : দেয়ালের রং, বেসিন, কমোড, বাথটাব, পর্দা সব কিছুর রং এমন হবে যাতে চোখের আরাম হবে এবং মনে শান্তি দেবে। হালকা সবুজ, হালকা নীল, উডেন কালার হবে সঠিক রং।
বাথটাব : উষ্ণ পানিতে চার-পাঁচ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ঢেলে গোসল। দারুণ উপভোগ্য। শুষ্ক ত্বক ও মাথা ব্যথার জন্য ল্যাভেন্ডার অয়েল, পেশির আরামের জন্য রোজমেরি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। আপেলের স্ক্র্যবার দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বক হবে নরম ও সতেজ। গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন গোলাপজল। যা ত্বকের জন্য যেমন ভালো, তেমন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালও। এতে ভালো ঘুমও হয়। এসব আয়োজনের পূর্ণতা পাবে কেবল বাথটাবেই গোসল করলে। আর বাথটাবের জন্য বাথরুমের আকার বিরাট হবে হবে এমন নয়। ছোট বাথরুমের উপযোগী বাথটাবও আজকাল পাওয়া যায়।
শাওয়ার : টাব বসাতে না চাইলে শাওয়ারের মুখে রেন শাওয়ার হেড লাগিয়ে দিন। এতে বৃষ্টির নরম ফোঁটার মতো পানি আপনার ক্লান্তি ধুয়ে দেবে। উপযুক্ত অয়েল ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ শাওয়ারের নিচে দাঁড়ালে ক্লান্তি দূর হবে।
শো-পিস : বাথরুমের দেয়ালে লাগাতে পারেন ফ্রেম করা ফটোগ্রাফ বা পেন্টিং। তবে অবশ্যই তা বড় নয়। ছবির পাশাপাশি ফুল ও গাছ ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বাথরুমের জানালা, বেসিন বা বাথটাবের পাশে সিরামিকের টবে রাখতে পারেন ইনডোর প্ল্যান্ট। গাছ রাখা ও তার যত্ন সমস্যার মনে হলে মানানসই ফুলদানিতে রাখতে পারেন লিলি, গোলাপ বা জারবেরা। কাচের বাটিতে জলের মধ্যেও ডাল ভেঙে পাতা ছেঁটে রাখতে পারেন এসব ফুল।
ফ্লোর : পারসোনাল স্পার জন্য নজর দিতে হবে বাথরুমের ফ্লোরে। উডেন ফ্লোর অতি প্রাকৃতিক। সত্যিকারের কাঠ দিয়ে তো ফ্লোর তৈরি সম্ভব নয়। কাঠের ন্যাচারাল ফিলিং আনতে ব্যবহার করা যেতে পারে ফক্স উড টাইলস। এগুলো সিরামিকেরও হয়ে থাকে।
ফ্লোর ম্যাট : বাথরুমের পুরো ফ্লোর বদলে ফেলতে না চাইলে বদল আনুন বাথরুম ম্যাটে। পেবল, মস, কাঠের বাথম্যাট বাথরুমে আনবে প্রকৃতির ছোঁয়া।
সুগন্ধি মোম : বাথটাবের সুগন্ধি অয়েল মিশ্রিত পানিতে শরীর ডুবিয়ে রাখার সময় বাথরুমের জোরালো আলোটা বন্ধ করে জ্বেলে ফেলুন সুগন্ধি মোম। টাবের কাছে থাকুক কাঠের বা বাঁশের ট্রে। তাতে রাখুন সুগন্ধি মোম, ফুল, গোলাকার ভাঁজ করে রাখা তোয়ালে। রাখতে পারেন পানীয়ের গ্লাসও। হালকা মোমের আলো ও সুগন্ধ শরীর ও মনকে করে তুলবে তরতাজা।
মিউজিক : স্পায় পূর্ণতা আনতে হালকা সংগীত সংযোজন করুন। মিউজিক শোনার জন্য বাথরুমে লাগিয়ে নিন ব্লু-টুথ স্পিকার। যা মোবাইল বা ল্যাপটপের সাহায্যে চালানো যায়।
লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক