শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রসুইঘর সাফাই

রান্নার সময় তেলঝোল ছিটকে সহজেই রসুইঘর ময়লা হয়ে যায়। কিচেনের বেসিন দেয়াল মুছে সাফসুতরো করুন।

রসুইঘর সাফাই

প্রতিদিনের সাফাই কৌশল

পরিবারের সারা দিনের খাবার যে ঘরে তৈরি হয় সেই ঘরটি প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে ধোঁয়া, তরকারির ঝোল, ভাতের মাড় সব কিচেনে জমতে থাকবে। এসব দাগ জমে গেলে তা উঠানো কঠিন। তাই প্রতিদিন রান্না শেষে মুছে ফেলুন। কিচেনের গ্যাসের চুলা এবং তার আশপাশে অবশ্যই মুছবেন। অল্প গরম পানিতে লিকুইড ক্লিনার দিয়ে স্পঞ্জ বা কাপড় দিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করুন। এ ছাড়াও কিচেনের দেয়াল পরিষ্কার রাখার জন্য হাতের কাছে পরিষ্কার কাপড় রাখুন। তেলঝোল ছিটকে দেয়ালে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিন। এমনকি ফ্রিজ বা মসলাদানি খোলার দরকারেও কাপড় ব্যবহার করুন। দাগ লাগবে না। প্রতিদিন ওয়াইপ-স্পঞ্জে ডিশওয়াশার মিশিয়ে ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লে­ন্ডার পরিষ্কার করতে পারলে ভালো। আর সময়ের অভাবে সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন বার সাফ করুন। এ কাজে সাফসুতোর না রাখলে রান্নাঘর কালচে এবং তেলতেলে আঠালো ভাবটা স্থায়ী হয়ে যাবে।

 

তৈজসপত্র পরিষ্কার

রান্নাঘরের মালসামান যত কম হবে চিটে তত কম হবে। রান্নাঘরের ক্যাবিনেট, মসলার কৌটা ইত্যাদি সাফাইয়ের জন্য বাজারে লিকুইড ক্লিনার মেলে। এতে স্ক্রাবার ভিজিয়ে সপ্তাহে অন্তত দুবার পুরো জায়গাটা ধুয়েমুছে শুকিয়ে নিলে রান্নাঘর জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন থাকবে। ছোট ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ হয়তো মেলে না। সে ক্ষেত্রে মসলার কৌটা নিচের ক্যাবিনেটে ভরে রাখবেন। এতে ওগুলো রান্নার তাপ বা তেলতেলে ভাব থেকে রেহাই পাবে।

 

মেঝেও পরিষ্কার রাখুন

রসুইঘরের মেঝে সবসময় পরিষ্কার রাখুন। ভালো সলিউশন পাওয়ার জন্য ক্লিনিং প্রোডাক্টের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। যে ক্লিনার দিয়ে মেঝে বা দেয়ালের টাইলস পরিষ্কার করবেন, তা দিয়ে কিন্তু কাঠের তাক মোছা চলবে না। হালকা দাগের জন্য গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে পরিষ্কার করবেন। আর দাগ কড়া হলে একটু ঘন ক্লিনার লাগবে। এক কাপ পানিতে ১/৪ ভাগ ভিনিগার মিশিয়ে ময়লা অংশে দ্রবণটি দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই হলো। কাঠের আসবাব হোয়াইট স্পিরিটে মুছবেন। সাবধানতার জন্য এক ফোঁটা ক্লিনার দিয়ে অল্প দেয়াল বা ক্যাবিনেট মুছে আগে পরখ করে নিন এতে পেইন্ট বা পালিশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না।

 

ইলেকট্রিক প্রোডাক্ট

রান্নাঘরে কিচেন চিমনি, হুড, এগজাস্ট ফ্যান থাকলে ধোঁয়া, তেল বাষ্প হয়ে বাইরে বেরিয়ে যাবে। এতে রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন থাকবে। তবে এই প্রোডাক্টগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে পেশাদার কাউকে ডেকে বছরে দুবার সার্ভিসিং করান। প্রতিদিন চিমনির চারপাশ ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে দেবেন। এ ছাড়া নিজে পরিষ্কার করতে চাইলে একটা ছুরি দিয়ে গ্রিলের কোণ, ফ্যান  ব্লেডের ফাঁকে আঁকড়ে থাকা ময়লা প্রথমে চেঁছে নিন। পরে ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

 

লিখেছেন : মোহাম্মদ সূজন

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর