যত বেশি ওয়ার্কআউট তত বেশি ফ্যাট কমে
সারা দিন প্রচুর পরিশ্রমে বেশি ফ্যাট কমে যায়। ধারণাটি ভুল। খুব বেশি নয়, প্রতিদিন একটু মনোযোগ দিয়ে ৩০-৪০ মিনিট ওয়ার্কআউটই যথেষ্ট। নানাভাবে ওয়ার্কআউটের ওপর মনোযোগ রাখা যায়। যেমন- পালস রেট মেপে বা ট্রেইনারের পরামর্শ নিয়ে আপনার টার্গেট হার্ট রেঞ্জ ঠিক করুন। নিয়ম না মেনে ওয়ার্কআউট করলে ফ্যাটের বদলে শরীরের প্রয়োজনীয় পদার্থ, যেমন- গ্লাইক্লোজেন, এনার্জি লেভেল কমে যেতে পারে। সুতরাং অতিরিক্ত ওয়ার্কআউট করে সময় এবং এনার্জি নষ্ট করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।
যত বেশি ঘাম তত বেশি ফ্যাট কমে
শরীরে ঘাম হওয়া মানে পানি বেরিয়ে যাওয়া ফ্যাট কমা নয়। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাওয়ার ফলে হিট স্ট্রোক, হিট একজশন এবং ডিহাইড্রেশন হতে পারে। বেশি ঘাম ঝরলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে এক্সারসাইজ করার জন্য শরীরে কোনো শক্তি থাকে না। ব্যায়ামের আগে, ব্যায়ামের সময় এবং ব্যায়াম হয়ে গেলে অবশ্যই পানি পান করবেন। স্টিম রুম বা সান বাথ নেওয়ার পর যে ওজন কমে তা পানি কমে যাওয়ার ফল, মেদ নয়।
ইলেকট্রিক্যাল মাসল স্টিমিউলেটরে মেদ কম
অনেকের ধারণা এক্সারসাইজে ইলেকট্রিক্যাল মাসল স্টিমিউলেটর ব্যবহারে শরীরের মেদ ঝরে। মোটেও না, এটি ব্যবহারে নির্দিষ্ট মাসল গ্রুপে অল্প কারেন্ট উৎপন্ন হয়। যার ফলে মাসল কনস্ট্রাকশন হয়, কিন্তু ডিভাইস সরালেই আবার যেই সেই। এই ডিভাইসগুলো ইনজরুড সারলেও মেদ কমাতে সহায়ক নয়।
এক্সারসাইজ মানেই বাড়তি মেদ কমানো
এক্সারসাইজ কখনই মেদ কমানোর ফ্যাক্টর নয়। জিন, বডি, টাউপ, ডায়েটের ভূমিকা শরীরে মেদের পরিমাপে অনেকটা প্রভাব ফেলে। একেকজনের শরীর একেকটা ট্রেনিংয়ে প্রোগ্রামের প্রতি বিভিন্নভাবে রেসপন্ড করে। তাই একই ওয়েট লস প্রোগ্রামে দুজনের একই পরিমাণ ওজন কমবে না।
ডায়েট পিলে ওজন কমে
যেসব ওষুধ বা টনিক ক্ষুধা কমিয়ে দেয় তার প্রভাব বেশি সময়ের নয়। তাই ওজন কমার সম্ভাবনাও দিন দিন কমতে থাকে। ডায়েট পিলে অম্ফিথিটামাইন নামক একটি স্টিমিউলেন্ট থাকে এতে, যার ফলে প্রথম প্রথম শরীরের মেদ কমলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাট কমার সম্ভাবনা হ্রাস পেতে থাকে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ইনসমনিয়া, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, মাইগ্রেশনের মতো প্রবলেম দেখা দেয়।
ওয়ার্কআউট বন্ধ মানে ওজন বেড়ে যাওয়া
এটা একদমই ভুল ধারণা। ওয়ার্কআউট করলে ফ্যাট এবং মাসলের রেশিও ভালো থাকে। শরীরে জমা ফ্যাট কমতে থাকে আর মাসল টোন বাড়তে থাকে। এক্সারসাইজ করা বন্ধ করে দিলে যা হয়, তা হলো ফ্যাট কমা বন্ধ হয়ে যায় এবং মাসল টোন কমে যায়।
লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক