শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সৌরবিদ্যুতে আলোকিত সারিয়াকান্দির চরাঞ্চল

সৌরবিদ্যুতে আলোকিত সারিয়াকান্দির চরাঞ্চল

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর তীরে হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাসনাপাড়া বাজার। একসময় সন্ধ্যার পর এই বাজারের একমাত্র ভরসা ছিল হারিকেন বা কুপির বাতি। কিন্তু এখন সৌরবিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করে উঠে পুরো বাজার। দোকানিরা সৌরবিদ্যুতের আলোয় অনেক রাত পর্যন্ত দোকানে বেচাকেনা চালিয়ে যান।

শুধু হাসনাপাড়া বাজার নয়, হাটশেরপুর ইউনিয়নের আরও চারটি বাজারে এমন রাতের আঁধার দূর করেছে সৌর আলো। এতে বদলে গেছে এসব বাজারের চিত্র। সারিয়াকান্দির অন্যান্য বাজার যেমন মীর বলায়েল, বড়ুরাবাড়ী, চান্দিনা নোয়ার বাজার, নারসি বাজার, কুপতোলা, ফুলবাড়ি, রামচন্দ্রপুর, করইতোলা ও কুতুবপুর বাজারের টিআর-কাবিটা কর্মসূচির সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে এসেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। এসব বাজারে আগে সন্ধ্যার পর ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসত। তখন ভরসা ছিল মোমবাতি, কেরোসিনের কুপি কিংবা হারিকেন। যে কারণে রাত ৮টার পর বাজারের সব দোকান বন্ধ হয়ে যেত। আগে চোর ডাকাতের ভয়ে অন্ধকারে বাজার পাহারা দিতে অনেক ভয়ে থাকতে হতো। কিন্তু বর্তমানে সৌরবাতির কারণে এই সমস্যা একেবারেই নেই।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর কাবিটার আওতায় সরকারি মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) পার্টনার সংস্থা শক্তি ফাউন্ডেশন বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় নবায়নযোগ্য শক্তি বাস্তবায়ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে।

শক্তি ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ডাইরেক্টর নাজমুল আহসান বলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়নের ২১৬টি গ্রামের বিভিন্ন বাজার এবং চরাঞ্চলের ১৩টি বাজারে সোলার সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৭০৮টি সোলার হোম সিস্টেম, ৫১৮টি সোলার সড়ক বাতি, ৯১টি সোলার ডিসি সিস্টেম এবং ৩৮টি সোলার এসি সিস্টেম স্থাপন করেছে তারা। তিনি আরও জানান, টিআর কাবিটার আওতায় ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে সোলার সিস্টেম স্থাপন করেছে শক্তি ফাউন্ডেশন।

হাসনাপাড়া বাজারে বসানো হয়েছে ৫টি সৌরবিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটিতে স্থাপন করা হয়েছে ৬০ ওয়াটের সৌর প্যানেল ও ১৫ ওয়াটের বাতি। সন্ধ্যা নেমে আসতেই রাস্তায় একাকী জ্বলে উঠে বাতিগুলো, গোটা বাজার হয়ে উঠে শহুরে আমেজ। কালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী বলেন, শুধু কালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন নয়, এখন সৌরবিদ্যুতের আলো ছড়াচ্ছে যমুনা নদীর প্রতিটি দুর্গম ইউনিয়ন ও চরাঞ্চলের ঘরে ঘরে। সোলার সড়কবাতির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ তুলনামূলক অনেক কম হওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষের বেশ উপকার হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর