শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ত্বক সুরক্ষায় তোয়ালে

ত্বক সুরক্ষায় তোয়ালে

ছবি : শোভন মেকওভার

মুখে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো অপরিচ্ছন্ন তোয়ালে। ময়লা তোয়ালের কারণে শুধু ব্রণ-ই নয় হতে পারে নানান রকমের ত্বকের অসুখ। এমনকি ডায়রিয়া থেকে শুরু করে অন্য যে কোনো অসুখের প্রবণতা থাকে জীবাণুবাহী একটি তোয়ালেতে। তাই নিজের সুরক্ষায় দরকার তোয়ালের যত্ন।

 

ত্বক সুরক্ষায় এতদিন নানা রকম পরিচর্যার কথা শুনেছেন কিন্তু তোয়ালের যত্নের কথা কী শুনেছেন? দৈনন্দিন ব্যবহার্য সব পণ্যের মাঝে একটি তোয়ালের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। অথচ সামান্য অসাবধানতার জন্য এই তোয়ালে হতে পারে আপনার জন্য ক্ষতির কারণ। আর সচেতনতা আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ ও সুন্দর। তাই ব্যবহারের তোয়ালের যত্ন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে প্রথমেই।

 

একই তোয়ালে সব কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন। গোসল করা, মুখ মোছা ও হাত মোছার জন্য আলাদা তোয়ালে থাকা বাঞ্ছনীয়। ত্বকের যত্নে বিশেষভাবে মুখ মোছার তোয়ালেটির খুবই যত্ন নিতে হবে। এটি প্রতিদিন ধুয়ে ফেলতে হবে। এ জন্য অবশ্য আপনি দুটি তোয়ালে রাখতে পারেন। মুখ মোছার জন্য অদল-বদল করে ব্যবহার করলে জীবাণু সংক্রমণ বা তোয়ালে ভিজে থাকার সমস্যায় পড়বেন না। মুখ মোছার জন্য যতটা সম্ভব নরম ও মোলায়েম তোয়ালে ব্যবহার করা ভালো।

 

অপরদিকে হাত মোছার তোয়ালে একদিন পর পর ধুয়ে ফেলুন। যে তোয়ালে দিয়ে খাবার পর হাত ধুয়ে মোছা হয়, সেটি প্রতিদিন ধুয়ে ফেলাই ভালো। এদিক দিয়ে একবার ধুয়ে বাথ টাওয়েল দিয়ে পার করা যায় সপ্তাহ খানেক। মাথায় রাখতে হবে, এটি দিয়ে মুখ মোছার দরকারই নেই।

 

তোয়ালে ধোয়ার নিয়ম

ত্বকের খুব কাছাকাছি যার অবস্থান তার যতœ নিতে হয় বিশেষভাবে। পালন করতে হয় বিশেষ কিছু পদ্ধতি। যেমন-

  

►   তোয়ালে সব সময় হালকা গরম পানি দিয়ে ধোবেন। বিশেষ করে গোসল করার তোয়ালে। ভারী কাপড়ের তোয়ালে এতে ভালো পরিষ্কার হবে।

►   প্রতিবার ধোয়ার পর অবশ্যই জীবাণুনাশক লিকুইড দিয়ে ধুতে হবে। এতে জীবাণু দূর হয়।

►   তোয়ালে অবশ্যই রোদযুক্ত পরিষ্কার স্থানে শুকাতে দিতে হবে।

►   তোয়ালে ধোয়ার পর ইস্ত্রি করে নিলে অনেকদিন নরম ও মোলায়েম থাকবে।

►   আপনার হাত ও মুখ মোছার তোয়ালে প্রতি ৩ মাস পর পর বদলে ফেলুন। গোসল করার তোয়ালে ১ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

►   বাজার থেকে তোয়ালে কিনে প্রথমে গরম পানিতে ধুয়ে আলগা ধুলা, রং ও সিলিকন দূর করে নিতে হবে। ব্যবহারের পর গোসলখানায়  তোয়ালে রাখা যাবে না।

 

বাজারে অনেক রকম তোয়ালে পাওয়া যায়। আপনাকে জেনে রাখতে হবে সব কাজের জন্য কিন্তু সব তোয়ালে নয়। যেমন, বাথ টাওয়েল, হাত তোয়ালে বা হ্যান্ড টাওয়েল, ফেইস টাওয়েল, বাথরোব (গোসলের পর গায়ে পরার তোয়ালে), বাথ ম্যাট, সুইমিং টাওয়েল ও ম্যাসাজ টাওয়েল। বাড়িতে এ সব ধরনের তোয়ালেই ব্যবহার হয় না। তবে তোয়ালের বৈচিত্র্য অন্দরের সৌন্দর্যও বাড়াতে পারে। কাজের ধরন অনুসারে তোয়ালের আকার ও রং নির্বাচন করতে হবে। খাবার ঘরে টেবিলের পাশে যে তোয়ালে রাখা হয় তা ছোট আকৃতির হওয়াই উচিত। এই তোয়ালে হালকা গোলাপি বা আকাশি রঙের হতে পারে। ফ্রিজের হাতলের জন্য সবুজ, নীল বা  মেরুন রঙের তোয়ালে ভালো হবে। অন্যদিকে স্নানঘরে যে তোয়ালে ব্যবহার করা হয়, তা হতে পারে হালকা রঙের মধ্যে গাঢ় ছাপার মাঝারি তোয়ালে। ঘর ও কাজ অনুসারে তোয়ালে বাছাই করলে অন্দরের সৌন্দর্যও বাড়াতে পারে।

                              পরামর্শ দিয়েছেন-

            শারমিন সেলিম তুলি, রূপ বিশেষজ্ঞ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর