শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রোপার লিপ কেয়ার

প্রোপার লিপ কেয়ার

♦ ছবি : ফ্রাইডে

কখনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই করে, কখনো বা ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠোঁট রাঙানো নিত্যদিনের সাজগোজের অংশ। তবে তাতে ঠোঁট হতে হবে কোমল ও মসৃণ।

কখনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই করে, কখনো বা ট্রেন্ডের গতিপথ ধরে ঠোঁট রাঙানো সাজের অন্যতম অংশ। তবে অনেকে পুরনো ফ্যাশনে বিশ্বাসী না হয়ে ঠোঁটের সাজে আনেন আমূল পরিবর্তন। কিন্তু শীত আসল বলে নাগরিক জীবনে এর আবহ বেশ পরিলক্ষিত।  প্রকৃতির মতো রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে কোমল ঠোঁট। আর লিপস্টিক থাকলে ঠোঁটের সাজ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে হয় না। কিন্তু যখন লিপস্টিক থাকবে না, তখন?

আসলে যত যাই বলি ঠোঁটের রুক্ষতার জন্য কেবল শুষ্কতাই দায়ী নয়, নিজের উদাসীনতা এবং অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলও দায়ী। শীতকালে এমনিতেই পানি কম খাওয়া হয়। ফলত, শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। ফলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রচুর পানি পান করা উচিত। আবার বাইরে বেরোলে ঠোঁট ফাটা বাড়তে পারে। সঙ্গে রাস্তার ধুলোবালি প্রতিনিয়ত আমাদের সংবেদনশীল ঠোঁটকে করে নাজেহাল। তাই মাঝে-মধ্যে ঠোঁট ধুয়ে লিপবাম লাগান। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীতকালে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর মুখ ধুয়ে লোশন এবং লিপবাম লাগানো উচিত। শীতকালে অনেকেই জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজান। এমনটা কখনই করবেন না। ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা এক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়। এ ছাড়া ঘরে আর্দ্রতা ধরে রাখার যন্ত্র হিউমিডিফায়ার কিনতে পারেন।  কারণ, শীতে ঘরের ভিতরটাও শুষ্ক থাকে।  হিউমিডিফায়ার আপনার ঘরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেবে। ফাটা ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন। তাই চেষ্টা করুন ফাটা ঠোঁটকে যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখতে। লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপস্টিক বেছে নিন। যদি ম্যাট লিপস্টিক লাগাতেই চান, সেক্ষেত্রে প্রথমে তুলা বা টিস্যুর সাহায্যে সামান্য লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে নিন এবং তারপর লিপস্টিক লাগান।

আবার অনেকের অসতর্কতায় শীতকালে ঠোঁটের রং কালো বা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। তবে ঘরোয়া কিছু উপায় আছে, যা মেনে চললে ঠোঁট হবে নরম, সুন্দর। জেনে নিন সেই উপায়।

♦ আর্দ্রতা হারালে ঠোঁট বিবর্ণ হয়ে যায়। ঠোঁটের রং কালো হয়ে যায়। তাই ঠোঁটের আর্দ্রতা সব সময়ই ধরে রাখা উচিত। এর জন্য ভালো লিপবাম খুব প্রয়োজনীয়। কিন্তু আমরা অনেকেই লিপবাম সঠিক প্রয়োগ করি না। ঠোঁটকে শুষ্ক হতে দেই। ফলে ঠোঁটের ত্বক ভিতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নরম ঠোঁট চাইলে আগেই নজর দিন ঠোঁটের আর্দ্রতার দিকে।

♦ ঠোঁটের ত্বক খুবই পাতলা হওয়ায় খুব দ্রুত তা শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। ঠোঁটকে ভালো রাখতে প্রতিনিয়ত মরা কোষ দূর করা দরকার। তাই হালকা গরম পানি ও সামান্য মধু মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। মধু প্রাকৃতিকভাবেই আর্দ্রতা ধরে রাখতে সক্ষম।

♦ শুধু কি দেহের চামড়াই রোদে পুড়ে? ঠোঁটের একইভাবে সানবার্ন হয়। অতি বেগুনি রশ্মি থেকে তাই ঠোঁটকে রক্ষা করা খুব জরুরি। সানস্ক্রিন অল্প করে লাগান ঠোঁটেও। তবে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন সানস্ক্রিনে।

♦ ধূমপানের অভ্যাসও কালো ঠোঁটের একটা বড় কারণ। সিগারেটের নিকোটিন ঠোঁটে প্রবেশ করে বিবর্ণ করে তুলে ঠোঁটকে। তাই ঠোঁট ভালো রাখতে ধূমপান ত্যাগ করুন।

♦ ঠোঁট নরম রাখতে একটু নজর রাখুন প্রসাধনীর ওপর। নামি কোম্পানির লিপস্টিক বা লিপগ্লস ব্যবহার করুন। তবে সব প্রোডাক্ট সবার জন্য নয়। দিন কয়েক ব্যবহারের পর খেয়াল করুন, ঠোঁটের রং কালচে হচ্ছে কি না। হলেই বদলান প্রসাধন।

পরামর্শ দিয়েছেন-শোভন সাহা (কসমোলজিস্ট)

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর