শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সকাল সকাল উঠুন

সকাল সকাল উঠুন

♦ ছবি : ইন্টারনেট

লাগামছাড়া ঘুমটাকে কিছুতেই বশ মানাতে পারছেন  না! তবে এ সমস্যার সহজ উপায়ও আছে। রইল তার আদ্যোপান্ত...

 

গবেষণায় দেখা গেছে, ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিরা বেলা করে ঘুম থেকে ওঠাদের তুলনায় বেশি সফল। কারণ, সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠতে পারলে কাজ ও অবসর দুটোর জন্যই অনেক বেশি সময় পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই সকালে ঘুম থেকে ওঠার সহজ উপায়।

 

ঘুমকে প্রাধান্য দিন

প্রতিদিনই আপনার কোনো না কোনো অজুহাতে রাতে ঘুমাতে যেতে দেরি হতে পারে। তবে চেষ্টা করুন প্রতিদিন রাতে তাড়াতাড়ি ও একই সময়ে ঘুমানোর। একইভাবে সকালেও জেগে ওঠার।

 

পদক্ষেপ নেওয়া শিখুন

লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সময় নির্ধারণ করুন এবং ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন। প্রথম দিন আপনার নিয়মিত ঘুমানোর সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট আগে ঘুমাতে যান এবং ১৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে জেগে উঠুন। পরদিন ৩০ মিনিট আগে ঘুমানো ও জেগে ওঠার অভ্যাস করুন। এভাবে আস্তে আস্তে ভোরে  ঘুম থেকে ওঠার জন্য অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন।

 

দুপুরের তন্দ্রা এড়িয়ে চলুন

যদি চিকিৎসকের পরামর্শ না থাকে তাহলে দুপুরে ঘুমাবেন না। কারণ দুপুরের ঘুমের কারণেই রাতে দেরিতে ঘুম আসে এবং সকালে উঠতেও দেরি হয়। তাই দুপুরের ঘুম এড়িয়ে যাওয়ার জন্য দুপুরে কাজ করুন বা শখের কাজের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করুন।

 

কফি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন

দুপুরের পর বা বিকাল থেকে কফি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনুন। গবেষণায় বলা হয়, ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন খেলে ৬ ঘণ্টা পর তা ঘুমের সমস্যা করে। স্বাভাবিক আকারের এক কাপ কফিতেই এ পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে। বিকাল ৫টার আগে থেকেই কফি খাওয়া বন্ধ করা উচিত।

 

সঠিক পরিবেশ তৈরি করুন

রাতে ঘুমানোর আগে ক্যামোমিল বা ল্যাভেন্ডারের চা পান করুন বা বই পড়ুন; যা আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করবে। প্রতি রাতে এর পুনরাবৃত্তি করুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীর এই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। আপনার ঘরের পরিবেশও ঘুম আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার শোয়ার ঘরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে তবে আপনার মন শিথিল থাকবে এবং দ্রুত ঘুম চলে আসবে।

 

সকালের কাজ ঠিক করুন

সকালে করতে হবে এমন কিছু কাজের তালিকা করুন। এর ফলে আপনার ঘুম থেকে ওঠার প্রেরণা তৈরি হবে।

 

দায়িত্ব দিয়ে দিন

সকালে ঘুম থেকে ওঠাতে পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে দায়িত্ব দিন। অনেকে অ্যালার্ম ঘড়ির শব্দেও উঠতে পারেন না। কিংবা অ্যালার্ম বন্ধ করে আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে ঘরের কোনো সদস্য আপনাকে উঠতে সাহায্য করবেন।

 

ধৈর্যশীল হোন

একবার ব্যর্থ হলেই চিন্তিত হবেন না। চেষ্টাই হবে আপনার প্রধান কৌশল। আপনার শরীর হয়তো নির্দিষ্ট ঘুমের ধরনের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে গেছে, নতুন অভ্যাস তৈরিতে কিছুটা সময় তো লাগবেই। তাই আপনার শরীরকে নতুন অভ্যাস আয়ত্তে নিতে সময় দিন এবং সব সময় ধৈর্য ধরুন।

লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর