শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শীতে আহ্লাদী ঠোঁট

শীতে  আহ্লাদী ঠোঁট

মডেল : সুমি, ছবি : রনি

শীতের এ সময় রুক্ষতা আর শুষ্কতার প্রভাব প্রথমেই এসে পড়ে ঠোঁটের ওপর। যত্ন না নিলে ঠোঁট ফেটে যাওয়া ও চামড়া ওঠার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। ঠোঁট কালো হওয়া এবং প্রাণহীনভাব থাকতে পারে। ঠোঁটের এই নাজুক অবস্থার জন্য শীতের সময়টায় অনেকের চেহারা মলিন লাগে...

 

শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁট নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। হঠাৎ হাসতে গিয়ে চির পড়ে ঠোঁটের কোণে। এ সময় রুক্ষতা আর শুষ্কতার প্রভাব প্রথমেই এসে পড়ে ঠোঁটের ওপর। যত্ন না নিলে ঠোঁট ফেটে যাওয়া ও চামড়া ওঠার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। ঠোঁট কালো হওয়া এবং প্রাণহীন ভাব থাকতে পারে। ঠোঁটের এই নাজুক অবস্থার জন্য শীতের সময়টায় অনেকের চেহারা মলিন লাগে। অনেকেই আবার শীতের দিনেও মাত্রাতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করে ঠোঁট কালচে বানিয়ে ফেলেন, যা একেবারেই অনুচিত। শীতে যাদের ঠোঁট ফাটে তারা নিয়মিত লিপবাম ব্যবহার করলে সুফল পাবেন। এ ছাড়া ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁট ময়েশ্চার করতে নারিকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এর বাইরেও সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ঠোঁটে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন, সঙ্গে ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবারও খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ঠোঁটের উপযুক্ত যত্ন বজায় রাখতে ঘরোয়া কিছু কার্যকর পদক্ষেপই যথেষ্ট। তাই দেরি না করে এখন থেকেই শুরু করতে পারেন আপনার যত্ন আত্তি। যেমন ঠোঁটের ফাটল সারিয়ে তুলতে এবং নমনীয়তা ধরে রাখতে কমলার রস খুব উপকারী। হাতে মাত্র দশ মিনিট সময় থাকলে ঠোঁটে কমলার রস মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

 

ঠোঁটের যত্নে গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে দুধের সর মিশিয়ে ঠোঁটে মাখাতে পারেন। ঠোঁটে দাগ থাকলে তা তো কমবেই, ঠোঁট নরমও থাকবে।

এ ছাড়া ঠোঁট নরম রাখতে কোকো বাটারযুক্ত লিপবাম ব্যবহার খুবই উপকারে আসবে। মনে রাখতে হবে ত্বকের মতো ঠোঁটের সৌন্দর্য রক্ষায় নিয়মিত চর্চা দরকার হয়।

প্রতিদিন যদি ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করা যায় তবে সহজেই মরা চামড়া দূর করা সম্ভব হবে। মাঝেমধ্যে ব্রাশ দিয়ে ঠোঁট হালকা ব্রাশও করে নিতে পারেন। এতে মরা কোষ ঝরে যাবে।

এই শীতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আপনার ঠোঁটের সেই সৌন্দর্য কেড়ে নিতে পারে। এই অবস্থায় ঠোঁট জোড়াকে রক্ষা করতে রোদে বের হওয়ার আগে লিপবাম বা নারিকেল তেল লাগিয়ে এর ওপর লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। দেখবেন ঠোঁটের পোড়াভাব দূর হয়ে যাবে। মনে রাখা জরুরি, বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাস খুবই খারাপ। এই অভ্যাস ঠোঁটে ফাটল ধরতে সাহায্য করে। তাই অভ্যাসটি থাকলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ অভ্যাস ছাড়তে হবে। ঠোঁটে শুধু বাহ্যিক যতœআত্তি যথেষ্ট নয়। খাবার-দাবারের প্রভাবেও আপনার ঠোঁটের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব। আমলা, বরই, লেবু ইত্যাদি টক জাতীয় ফল খেতে পারেন নিয়মিত। এ জন্য ভিটামিন ‘সি’যুক্ত খাবারের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ট্যাবলেটও খেতে পারেন। খুব প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ঠোঁটের শুষ্কতা কমাতে সব সময় সঙ্গে  ভ্যাসলিন বা চ্যাপস্টিক রাখতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাসও আপনাকে রক্ষা করবে।

যাদের ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক তারা প্রতিদিন মধু, গোলাপজল ও কমলালেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন।

লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর