শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রাকৃতিক উপাদানে কোমল ত্বক

প্রাকৃতিক উপাদানে কোমল ত্বক

ময়েশ্চারের ভালো উৎস হলো প্রাকৃতিক উপাদান। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুফল হলো, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তাই নিজের ত্বককে সুন্দর করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান বেশি ব্যবহার করুন।

 

সুন্দর ত্বকের গোপন রহস্য হলো এর সঠিক আর্দ্রতা। আর ময়েশ্চারাইজিং হলো ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার অন্যতম উপায়। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে ক্লেনজিং, টোনিং তো বটেই পাশাপাশি নজর দিতে হবে ময়েশ্চারাইজিংয়েও। আর এই ময়েশ্চারাইজিংয়ের ভালো উৎস হলো প্রাকৃতিক উপাদান। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুফল হলো, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তাই নিজের ত্বককে সুন্দর করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান বেশি ব্যবহার করুন।

 

সারা বছর নিয়ম মেনে যেমন ক্লেনজিং- টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং করতেন। এই শীতেও কিন্তু একইভাবে মেনে চলতে হবে। একটু ভালো কোম্পানির ময়েশ্চারাইজার বডি লোশন ব্যবহার করুন। কারণ, শীতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভালো ময়েশ্চারাইজার একান্ত প্রয়োজন। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের ভিতরে গিয়ে পুষ্টি জোগায়, ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। ফলে শুষ্ক, রুক্ষ ত্বক হয়ে ওঠে কোমল ও মোলায়েম। শুধু তাই নয়, নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী চাহিদাও কিন্তু আলাদা আলাদা। তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক সব রকম ত্বকের জন্যই এখন আলাদা আলাদা ময়েশ্চারাইজার কিনতে পাওয়া যায়। আপনাকে শুধু একটু বুদ্ধি করে কিনতে হবে। তবেই কিন্তু কাক্সিক্ষত ফল পাবেন। স্বাভাবিক ত্বকে ওয়াটার বেসড, শুষ্ক ত্বকে ক্রিমবেসড এবং তৈলাক্ত ত্বকে অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার আদর্শ। আর বাজারের চলতি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে না চাইলে বেছে নিতে পারেন ঘরোয়া টোটকা। ঘরে বসেই ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে নিতে পারেন সহজেই।

 

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী সবারই পরিচিত ভেষজ উপাদান। দৈনন্দিন ব্যবহার্য নানা প্রসাধনীতে এর উপস্থিতি আছেই। এটি ত্বকের রং হালকা করে এবং ত্বককে আর্দ্রতা ধরে রাখে। অ্যালোভেরা ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার দুই পাশের কাঁটা কেটে ব্লে­ন্ডারে পিষে নিন। তারপর একটি লেবুর সম্পূর্ণ রস বের করে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে, গলা, হাত বা পায়ের রং হালকা ও দাগ দূর করতে প্রতিদিন লাগিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি রোদে পোড়াভাবও দূর করে। সম্ভব হলে প্রতিদিন রাতে অ্যালোভেরার জেল নিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দূর করে থাকে। অ্যালোভেরার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের সব ধরনের ব্রণ ও ইনফেকশনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ত্বকের কোমলতা বজায় রাখতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরার জেল দিতে পারেন। এই দীর্ঘ সময়টার আগে ত্বকের বিশেষ যতœ নিলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে ত্বক দেখায় উজ্জ্বল ও মসৃণ। অ্যালোভেরা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না। সঙ্গে কমে আসে ত্বকের রুক্ষতাও। রাতে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরার রস। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

 

কোকোয়া বাটার

বাটার খাওয়া যায়, আবার ত্বকেও মাখা যায়। বাটার আসে কোকো বীজ থেকে। কোকো পাউডারে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ত্বককে সানবার্নের হাত থেকে রক্ষা করে। বলিরেখার সমস্যা কমায় ও চামড়া টানটান করে। কোকো পাউডার, আমন্ড গুঁড়া, সি সল্ট ত্বকের মরা কোষ দূর হয়। ত্বকের কালো দাগ কমে। সপ্তাহে দুই দিন কোকো পাউডার দিয়ে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। শীতে ত্বকের ময়েশ্চারে কোকো পাউডার বেশ উপকারি। আধা কাপ কোকো বাটার, নারিকেল তেল, ২ টেবিল চামচ কোকো পাউডার ও একটা ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল নিন। চুলায় কম আঁচে কোকো বাটার গলিয়ে নারিকেল তেল দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। রুম টেম্পারেচারে এলে ফ্রিজে রাখুন। জমে গেলে বের করে বিটারে ফেটিয়ে এর মধ্যে কোকো পাউডার ও ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল দিন। তারপর এয়ারটাইট বক্সে রেখে কয়েক দিন ব্যবহার করুন। কোকো বাটার ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বক কোমল ও মোলায়েম করে। দিনে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করতে পারেন।

লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক

সর্বশেষ খবর