শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
মোহনীয় কেশ

সিঁথির জাদু

রচি জামান

সিঁথির জাদু

একপাশে বা মাঝখানে, যেদিকেই রাখুন না কেন, চুলের সিঁথি কিন্তু আপনার লুকে নিয়ে আসবে পরিবর্তন। ► মডেল : রিমি ► ছবি : ফ্রাইডে

সাজগোজের সঙ্গে যোগ্যসঙ্গত না হলে, সাজ থেকে যায় অপূর্ণ। পোশাক আর মানানসই মেকআপের সঙ্গে চুলের সাজটাও যে সামঞ্জস্য হওয়া চাই! তবে চুল যেমনই হোক, সাজই বদলে দেবে আপনার লুক এবং ফ্যাশন। কিছুকাল আগে তাকালে দেখা যাবে চুল নিয়ে তখনকার সময় খুব বেশি এক্সপেরিমেন্ট কাজ হতো না। তখন চুলের একটাই ট্রেন্ড ছিল। আর তা হলো সিঁথি। সিঁথিতেই রমণীরা হয়ে উঠত লাবণ্যময়ী। তাই তো সিঁথির গুণকথা বারবার উঠে এসেছে বই-পুস্তকের পাতায়। তবে চুলের সাজে সিঁথির কদর সে সময় যেমন ছিল এখনো তেমনি আছে। সময় বদলেছে কিন্তু সিঁথির ফ্যাশন বদলায়নি। বরং সিঁথি নিয়ে আজকালকার তরুণীদের মাঝে চলে নানারকম এক্সপেরিমেন্ট। আজ এ সাজ তো কাল ওই সাজ। তবে কীভাবে সাজাবে, কেমন হবে রং, সব মিলিয়ে তরুণীরা চায় সিঁথির জাদু।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘চুল বড়ই শৌখিন। মানব সৌন্দর্যের অন্যতম অংশীদার। এতটুকু সাজলেই রূপের আলো বাড়ে দ্বিগুণ। সেই সাজে সিঁথির কদর সব বয়সী রমণীর কাছে প্রাধান্য পায় বেশি। তবে শুধু সিঁথির স্টাইল করলেই হবে না, মুখের গড়ন বুঝে সিঁথির সাজ বেছে নেওয়া উচিত।’

 

সিঁথির ক্ষেত্রে মুখের আকৃতি বুঝে চুলের সিঁথি করতে হবে। গোলাকার মুখে সাইড সিঁথি মানানসই। আর যদি মাঝ থেকে সিঁথি করতে চান তবে কপালের উপরের চুলগুলো সামান্য ফুলিয়ে নিলেই হলো। তাহলে মুখের আকৃতি কিছুটা লম্বা দেখাবে। লম্বাটে মুখের গড়নে সাইড সিঁথি সেরা। এ ক্ষেত্রে কপালের উপরের চুলগুলো সামান্য ঝুলিয়ে চোখের কাছ পর্যন্ত ঢেকে দিলে মুখের লম্বা লুক কিছুটা কমে ব্যালেন্সড হবে। চারকোনা মুখে লাভ লকস বা কপালের উপরের কাটা চুলগুলো কানের কাছে এসে থামবে। মাঝ বরাবর বা হালকা সাইড ঘেঁষা সিঁথি এ ক্ষেত্রে ভালো মানাবে। কিন্তু সিঁথির দুই পাশের চুল চোখের কোনা দিয়ে নেমে কান পর্যন্ত ঢাকলে আপনার ফেস লুক কাটা পড়বে। তখন মুখটা লম্বাটে লাগবে। আর তিন কোনা আকৃতি হলে মাঝে সিঁথি কাটুন। আর পাশে সিঁথি কাটতে চাইলে সেটা হবে কানঘেঁষা নয়, বরং তালুর ওপরেই একটু ডান বা বাম করে সিঁথি কাটতে হবে। যাদের গোলাকার ফেস তাদের যে কোনো সিঁথিতেই ভালো লাগবে। কপাল একটু বড় হলে মাঝে সিঁথি করুন। আর ছোট হলে পাশে। মুখের আকৃতি যেমনই হোক না কেন, স্মার্ট লুক দেখানোই উদ্দেশ্য। চেহারায় মোহনীয় ভাব ফুটিয়ে তুলতে ওভাল শেপ কাম্য। চুলের সিঁথির মাধ্যমে পছন্দের এই শেপ আনা সম্ভব।

 

পার্টি বা নিজের লুক নিয়ে যারা খেলতে পছন্দ করেন, তারা চুলে জিকজ্যাক সিঁথি করতে পারেন। মাথার তালুতে ইংরেজি জেড আকৃতির এই সিঁথি সেই কবে থেকে গেঁথে আসছে চুলের মালা। যাদের চুলের ঘনত্ব মোটামুটি তারা এই সিঁথি কাটলে চুল বেশ ভারী দেখায়। অনেকেরই পছন্দ কোনা করে কাটা সিঁথি। কোনা সিঁথিতে মাথার পেছনের অংশে চুলের ভলিউম বেড়ে যায়, আর মুখ শুকনো দেখায়। আবার এধার-ওধার কুচো কুচো চুলের গোছা, স্টাইলিশ লুকস। পারলার থেকে বের হওয়ার সময় বেশ পরিপাটিই ছিল, কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই তা উলটে পালটে ভয়ানক দশা। সাধের স্টাইলটি ফেরত পেতে ক্লিপ আটকালেই হয়। এক পাশে সিঁথি করলে, যে চুল মুখের ওপর এসে বিরক্ত করে, তাকে এই ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখুন। এ ক্ষেত্রে নানা রঙের জেমস ক্লিপ, ক্লিপ ব্যারেট বা ববি পিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে সিঁথি যেভাবেই কাটুন না কেন, কী দিয়ে কাটছেন তাও খেয়াল করা উচিত। চিরুনি সিঁথি কাটার জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। সিঁথি কাটার সূক্ষ্ম কাঁটাওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করুন। নানা বিড়ম্বনা এড়িয়ে চলা সম্ভব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর