শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
নিয়মিত পরিচর্যা

শেভিং হোক নিরাপদ

সবার দাড়ি একভাবে বাড়ে না। প্রয়োজন হয় শেভিংয়ের। তাও আবার ফেস হেয়ারের বৈশিষ্ট্য বুঝে। মুখমণ্ডল মসৃণ দেখানোর জন্য। কাজটি অনেকটা সহজ করে দেয় ফেস ম্যাপিং।

সাইফ ইমন

শেভিং হোক নিরাপদ

শেভিংয়ে ছেলেদের রেজর, ব্লেড বা গ্যাজেট (শেভিং যত্ন) নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত।► ছবি : শোভন মেকওভার

ছেলেদের শেভ করার প্রচলন কবে থেকে শুরু হয়েছে, তা জানার সুযোগ নেই। কিন্তু শেভ করার ধরন এবং দাড়ির স্টাইলে এসেছে পরিবর্তন। শেভ করার জন্য এসেছে নানা প্রসাধনী। আর আজকাল শেভিং গ্যাজেটের জনপ্রিয়তা অনেক। সেকালের রেজর ও ব্লেডের ব্যবহার তো আছেই! তবে এগুলো কেনার আগে নিজের দাড়ি এবং তা বেড়ে ওঠার ধাঁচ বুঝে নেওয়া খুব জরুরি। যদিও একজন থেকে অন্যজনের বৃদ্ধির ধাঁচ ভিন্ন। তবে কিছু ধরন সবার ক্ষেত্রে প্রায় একই। তাই প্রত্যেক ছেলের উচিত নিজের দাড়ির বৈশিষ্ট্য বুঝে শেভ করা। আর সে কাজটি করার জন্য একটু কৌশলী হতে দোষ কি সে! আর সে কাজটি সহজ করে দেয় ফেস ম্যাপিং। জেনে নিন তারই আদ্যোপান্ত...

ফেস ম্যাপিং বুঝে ওঠা কঠিন। কারণ, সবার দাড়ি বৃদ্ধির ধাঁচ এক নয়। তবে কিছু ধরন সবার ক্ষেত্রে প্রায় একই। দাড়ি সাধারণত বাড়ে ডাউনওয়ার্ড প্যাটার্নে অর্থাৎ গাল থেকে নিচে। আর গলা বা কণ্ঠনালির আশপাশের অংশের চুল বেড়ে ওঠে আপওয়ার্ড প্যাটার্নে অর্থাৎ উচ্চাভিমুখভাবে। এই ধরনটি বুঝে রেজর বা গ্যাজেট ব্যবহার করলে ইনগ্রোন হেয়ার কমে আসে, পাশাপাশি আফটার শেভিং ত্বকের লালচে ভাবও থাকে না।

শেভ করার ৪-৫ দিন পর নিচ থেকে নিজের দাড়ির ছবি তুলে নিয়েই দেখুন বেড়ে ওঠার প্রবণতা কোথায় কোথায় কেমন। আবার পুরো মুখে হাত বুলিয়ে বুঝে নেওয়া যায়, কোন দিকে কোন প্যাটার্নে দাড়ি বাড়ছে। কোন দিকে দাড়ি হাতে লাগছে আর কোন দিকে হাত চালানো যাচ্ছে মসৃণভাবে তা নিজেই পরখ করে দেখা যায়।

 

দাড়ি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার দিককে বলা হয় ‘গ্রেইন’। শেভের প্রথম ধাপ, মুখের গ্রেইন যেদিকে, শেভিং ক্রিম মেখে সেদিক থেকে শেভ করতে হবে। এটা সবচেয়ে সহজ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। আরও মসৃণ শেভ চাইলে প্রথম ধাপের পর আবার মুখ ধুয়ে নিয়ে শেভিং ক্রিম লাগান। এবার শেভ করতে হবে ক্রিস ক্রস ডিরেকশনে। অর্থাৎ গ্রেইনের দিকে নয়, আবার বিপরীতেও নয়। রেজর চালাতে হবে পাশ থেকে। দ্বিতীয় ধাপের ফলে ত্বকের বাড়তি খচখচে বা লালচে ভাব ছাড়াই পাবেন সুন্দর শেভ। চাইলে এখানে থেমে যেতে পারেন। তবে ত্বকে হাত বুলিয়ে দেখে নিন। যদি কোনো স্থানে রুক্ষতা টের পান, তাহলে তৃতীয় ধাপ হিসেবে ওই সব স্থানে আবার শেভিং ক্রিম লাগিয়ে শেভ করে নিন। এবার কিন্তু গ্রেইনের বিপরীতে। এই তিন ধাপে শেভ করার পরেও পাবেন মসৃণ ত্বক! এভাবে শেভ করতে থাকলে আস্তে আস্তে নিজের ফেশিয়াল হেয়ার সম্পর্কিত চিত্র আয়ত্তে চলে আসবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর