শীতের শেষে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া একটি কমন সমস্যা। হঠাৎ রোদের তাপ বেড়ে গেলে ত্বক পুড়ে সাধারণত এমন ঘটনা ঘটে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনটাই ভেঙে যায়। কিন্তু এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় রয়েছে আপনার হাতেই। প্রথমত. ঘরের বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন লাগানোর কথা ভোলা যাবে না। ভাবছেন আপনি তো আর রোদে যাচ্ছেন না, থাকবেন সারাদিন অফিসে। কিন্তু আপনার জন্য পরামর্শ হলো, অফিসে থাকলেও দিনের আলো থাকাকালীন বেশ কয়েকবার সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। কারণ রোদে না গেলেও দিনের আলোর প্রভাব আপনার ত্বকে পড়ে। দ্বিতীয়ত. পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে। এবার আসা যাক ত্বক পরিচর্যার বিষয়ে। হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়ে ত্বকের পূর্ণ চর্চা সম্ভব। যেমন-
শসা : ত্বকের যে কোনো প্রদাহ কমাতে শসা কার্যকর। চোখের নিচে কালো দাগ সারাতে দ্রুত কাজ করে। তাই সরাসরি শসার রস ব্যবহার করতে পারেন অথবা কোনো প্যাকের সঙ্গেও শসার রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
লেবুর রস : পাতিলেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এটি সরাসরি ত্বকে লাগানো ক্ষতিকর। ত্বক উজ্জ্বল হওয়ার পরিবর্তে আরও কালো হয়ে যেতে পারে। জ্বালাভাবও টের পেতে পারেন। তাই আপনার ফেস প্যাকের সঙ্গে এটি ব্যবহার করুন।
দই-মধু : দইয়ে উপস্থিত এনজাইম আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে দারুণ কার্যকর আর মধু কাজ করে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। এই দুটি উপাদান মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। মিনিট ২০ পর ধুয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন রাতে লাগালে দারুণ উপকার পাবেন।
টমেটো : টমেটোর লাইকোপিন ত্বকে বয়সের ছাপ তাড়াতে কার্যকর। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়িয়ে তোলে ত্বকের উজ্জ্বলতাও। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ফেস প্যাকে টমেটো ব্যবহার করতে পারেন। আধ ঘণ্টা পর প্যাকটা ধুয়ে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
চন্দন : ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে চন্দনের কোনো তুলনা নেই! চন্দনে উপস্থিত টাইরোসিনেস মেলানিনের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে। চন্দনের সঙ্গে আমন্ড পাউডার আর দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে এর উপকার পাবেন। তবে প্রথমবার চন্দন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই প্যাক টেস্ট করে নিন। অনেকের চন্দনে অ্যালার্জি হয়। অ্যালার্জি হলে এটি এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো।